মনের সার্বজনীন ব্যায়াম হচ্ছে মেডিটেশন-ধ্যান বা মোরাকাবা। মেডিটেশন নিয়মিত চর্চায় মানুষের ভেতরের ইতিবাচক শুভ সত্ত্বা এবং শক্তিকে জাগিয়ে তোলে।
আধুনিক এ বিজ্ঞানের যুগে এবং যান্ত্রিক জীবনে মেডিটেশন এক অপরিহার্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। রোগ মুক্তি থেকে শুরু করে জীবনের সব ক্ষেত্রেই এখন মেডিটেশনের ব্যবহার কার্যকর ভূমিকা পালনে সহায়ক।
মেডিটেশন নিয়ে একটি ভুল ধারণা প্রচলিত আছে যে শুধু মানুষিক সমস্যা বা রোগ থাকলেই মেডিটেশন করতে হয়।
কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে সফল এবং সৃজনশীল মানুষরাই বরং মেডিটেশন চর্চা বেশী করেন। তাদের অর্থ, খ্যাতি, ক্ষমতা কোন কিছুরই কমতি নেই। তারপরও তারা মেডিটেশন চর্চা করে ব্রেনকে এবং মনকে শান্ত করে সফলতাকে ধরে রেখে নতুন কর্ম উদ্দীপনায় ভবিষ্যতে আরো ভালো ভাবে সুখ সমৃদ্ধি আর সফলতার স্বপ্ন বোনেন।
দেহের সুস্থতার জন্য দেহের ব্যায়াম যেমন জরুরী ঠিক তেমনি মনের সুস্থতার জন্যে’ও মনের ব্যায়াম জরুরী আর এ বিষয়টি এখন বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণিত।
বহু যুগ ধরে মানুষ মেডিটেশন বা ধ্যানকে আত্ম বা মনের উপলব্ধির জন্যে ব্যবহার করে আসছে। ধর্মীয় ভাবেও হাজার বছর ধরে ধ্যানের চর্চা হয়ে আসছে। অন্যদিকে বর্তমান এ বিজ্ঞানের যুগে’ও জীবনকে সহজ এবং গতিশীল করতে মেডিটেশন এক অপরিহার্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নিয়মিত মেডিটেশন চর্চায় শরীরের পেশী এবং অরগ্যান শান্ত হয় শরীরে রক্ত চলাচল এবং অক্সিজেনের মাত্র বেড়ে যায় ফলে শরীর হালকা বোধ করে এবং মনের রাগ-ক্ষোভ-দুঃখ-হতাশা-টেনশন স্ট্রেস বা মানসিক চাপ দূর হয়।
দৃষ্টি ভংগিমার পরিবর্তন হয় ইতিবাচক মনোভাবের উদ্ভব হয় এমনকি মহান সৃষ্টিকর্তার সাথে কানেক্টিভিটি সৃষ্টি হয় সৃষ্টিকর্তার শুকরিয়ায় নিজেকে অর্পণের আনন্দে আনন্দোলিত হওয়া যায় ফলে মনোদৈহিক নানা রোগ
যেমন : আইবিএস, অনিদ্রা, মাইগ্রেন, করোনারি হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ-সহ নানা রকম ব্যথা-বেদনা ইত্যাদি থেকে নিরাময় লাভ করা যায় খুব সহজেই।