‘নিশ্চয়ই আমি কুরআন নাজিল করেছি মর্যাদাপূর্ণ (কদর) রাতে। আপনি কি জানেন, মহিমাময় কদরের (মর্যাদার) রাত কী? মহিমান্বিত কদরের রাত হলো হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। সে রাতে ফেরেশতাগণ ও রূহ (হজরত জিবরাইল আলাইহিস সালাম) তাদের প্রভুর অনুমতি ও নির্দেশ সমভিব্যাহারে অবতরণ করেন। সব বিষয়ে শান্তির বার্তা নিয়ে। এই শান্তির ধারা চলতে থাকে ফজর পর্যন্ত।’ (সুরা কদর)

হা-মীম। শপথ সুস্পষ্ট গ্রন্থের। আমি কুরআনকে এক বরকতময় রজনীতে নাজিল করেছি। নিশ্চয়ই আমি সতর্ককারী। এই রজনীতে প্রতিটি প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়। আমার পক্ষ থেকে আদেশক্রমে, আমিই প্রেরণকারী। আপনার পালনকর্তার পক্ষ থেকে এ এক রহমতস্বরূপ। তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।’ (সুরা দুখান : আয়াত ১-৬)

অর্থাৎ লাইলাতুল কদরের রাতে আল্লাহর ওইসব বান্দা অধিক সম্মানিত ও মর্যাদার অধিকারী হবেন, যার সঙ্গে কুরআনের সম্পর্ক অধিক হবে।এবং যে সকল ব্যক্তি কুরআনের আলোকেই গড়ে তুলবেন নিজের জীবন। এবং বাস্তবজীবন কুরআনের আমলে সাজাবেন। শুধুমাত্র তারাই সফল হবেন।

শবে ক্বদর নিয়ে ভ্রান্ত ধারণাঃ
অধিকাংশের মতে,রমজানের সাতাশের রাতই হচ্ছে শবে কদর।যদিও এই ধারণা সঠিক নয়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন- হতে পারে, এতেই তোমাদের জন্য কল্যাণ নিহিত রয়েছে। তোমরা এ রাত (অর্থাৎ তার বরকত ও ফযীলত) রমযানের শেষ দশকে মধ্যে অন্বেষণ কর। সহীহ বুখারী হাদীস নং ২০২০, সহীহ মুসলিম ১১৬৫/২০৯
আবার অন্য হাদীসেও বিশেষভাবে বেজোড় রাতগুলোতে শবে কদর তালাশ করার জন্য আদেশ দেওয়া হয়েছে। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১৬৫

Leave a Comment