আপনার ৪০+ বছর বয়সেও ধরে রাখতে পারবেন তারুণ্যের গ্লামার।

আসুন জেনে নেয়া যাক কি ভাবে। শরীরচর্চা যেমন শরীর ফিট রাখতে জরুরী ঠিক তেমনিভাবেই ত্বকের সৌন্দর্য এবং ঝলমলে ভাব ধরে রাখতে প্রয়োজন ত্বকের পরিপূর্ণ যত্ন। আর এ জন্য সময়মতো মুখ পরিষ্কার করা, ময়েশ্চারাইজিং ব্যবহার করার মতো অনেক বিষয়াদি রয়েছে যা কিনা আমাদের প্রতিদিনের অভ্যেসে রূপান্তরিত করতে হবে। ইদানিং প্রায়শই দেখা যাচ্ছে ভুল ডায়েট এবং ব্যাস্ততাময় পেশাগত ও ব্যাক্তিগত জীবনযাপনের কারণে অল্প বয়সেই মুখে বলিরেখা, ফাইন লাইনের সমস্যা দেখা দেয়। এগুলো এড়িয়ে চলতে সঠিক পরিচর্যা ছাড়াও অনেক নিয়ম নীতি এবং সঠিক জীবন যাপন পদ্ধতি মেনে চলতে হবে। আমরা প্রায়শই শুনি যে ৪০ বছর বয়সের পরে অ্যান্টি-এজিং ট্রিটমেন্ট অনুসরণ করা উচিত, যদিও এটি এমন নয় যে’ কেউ এটি ২৫/৩০ বছর বয়স থেকেই শুরু করতে পারেন। আসলে, অ্যান্টি-এজিং মানে ত্বকের বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেওয়া। ফলে এটা স্পষ্ট যে আপনি যত তাড়াতাড়ি এন্টি-এজিং প্রকৃয়া শুরু করবেন, তত বেশি আপনি ত্বককে ফাইন লাইন, বলিরেখা বা’ বার্ধক্যজনিত অন্যান্য সমস্যা থেকে বাঁচাতে পারবেন।

ত্বকের বার্ধক্যজনিত সমস্যা গুলো কি ভাবে সহজে দূর করা যায়

সে বিষয় সম্পর্কে আলোকপাত করা হলো :

স্বাস্থ্যকর ফ্রেশ/তাজা খাবার গ্রহণ করা। উজ্জ্বল সুন্দর ত্বকের জন্য এবং ত্বক’কে সুস্থ রাখতে খাবারের ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে।তাই খাদ্যতালিকায় বেশি করে ভিটামিন ও মিনারেল অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। ভাজাপোড়া এবং ফাস্ট ফুড এভয়েড করাই উত্তম। খাবারে ফল, শাক-সবজি, প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি জাতীয় জিনিস অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, এতে ত্বক পরিপূর্ণ পুষ্টি পাবে এবং উজ্জ্বল হতে শুরু করবে।

সানস্ক্রিন ব্যবহারে অভ্যস্ত:

গরমে বলিরেখা এড়াতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিৎ। ত্বক বিশেষজ্ঞরা সুপারিশ করেন যে বার্ধক্য, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস, সূর্যের রস্নির ক্ষতিকর প্রভাব গুলো এড়াতে সানস্ক্রিন প্রয়োগ করা খুবই জরুরী এবং অত্যাবস্যক। ত্বকের যত্নে রেটিনল অন্তর্ভুক্ত করুন এবং রেটিনল সমৃদ্ধ সৌন্দর্য প্রডাক্ট ব্যবহার করতে পারেন।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ব্যবহার:

ত্বকের পরিপূর্ণ যত্নের জন্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ সৌন্দর্য পণ্য ব্যবহার করুন। বর্তমান বাজারে বহুবিধ সৌন্দর্য বর্ধক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ পন্য পাওয়া যায় সেগুলো ব্যবহারে অভ্যস্ত হওয়া যেতে পারে। এগুলো ব্যবহারে বার্ধক্য দূরে থাকবে এবং বয়সের আগে মুখে বলিরেখা আসার সম্ভবনা বহুলাংশে কমে যায়।

টেনশন/স্ট্রেস থেকে দূরে থাকার চেষ্টা:

ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে এবং বার্ধক্যের চিহ্ন দূরে রাখতে স্ট্রেস থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। মানসিক চাপ ত্বক ও চুলের সবচেয়ে বড় ভয়ংকর সাইলেন্ট শত্রু। স্ট্রেস মুখে বার্ধক্য দ্রুততম করে আর সে কারণে’ই স্ট্রেস কে নিজের কন্ট্রোলে আনবার চেষ্টা করুন এবং স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট শিখুন এবং চর্চা করুন।

ত্বকে দই ব্যবহার করুন:

দই একটি প্রকৃতিক উপাদান এর কোন সাইড এফেক্ট নাই, দই মুখ ফর্সা করতে অত্যন্ত উপকারী। দইতে রয়েছে ল্যাকটিক অ্যাসিড, যা কিনা একটি প্রাকৃতিক ব্লিচ। দই হাতে নিয়ে সারা মুখে এবং সম্ভব হলে শরীরের সমগ্র ত্বকে ম্যাসাজ করুন এবং তারপর হালকা গরম জল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। আপনি অবিলম্বে ত্বকে রঙের পার্থক্য দেখতে শুরু করবেন।

আমাদের প্রত্যেক মানুষের ত্বকের ভিন্নতা রয়েছে। সবার জন্য একই জিনিস স্যাুট বা সুইটেবল না-ও হতে পারে।

তবে আমরা আমাদের এই তথ্যের যথার্থতা, সময়োপযোগীতা এবং সত্যতা নিশ্চিত করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করেছি

তবে অবশ্যই আপনি ত্বক প্রতিকারের এই পদ্ধতি ব্যবহারের পূর্বে আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নেয়ার অনুরোধ করছি।

আমাদের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র আপনাদেরকে তথ্য প্রদান করা।

আপনাদের সকলের জীবন সুস্থ সুন্দর এবং আনন্দময় হোক প্রশান্তিতে ভোরে উঠুক সকলের জীবন এই প্রত্যাশা রইলো।

ধন্যবাদ

Leave a Comment