২১ জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবস৷ বর্তমানে এই চূড়ান্ত কর্মব্যস্ততার সময়ে শরীরকে সুস্থ রাখতে দুনিয়ার শতাধিক দেশে প্রায় নিয়মিত যোগাভ্যাস করেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। যতই আমরা প্রযুক্তি নির্ভর হচ্ছি, ততই যেন জীবনে বাড়ছে নানা রোগ! আর তার অনেকগুলি থেকেই মুক্তি দিতে পারে যোগাভ্যাস। ২০১৪ সাল থেকে প্রতি বছর ২১ জুন দিনটি ‘বিশ্ব যোগ দিবস’ হিসাবে পালন করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। ২০১৬ সালে বিশ্বের প্রায় ২০ কোটি মানুষ অংশগ্রহণ করেছিলেন এই যোগ দিবসে। ২০১৭-তে ভারত ছাড়াও চিন, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, আমেরিকা, দক্ষিণ আফ্রিকা, লেবানন, কানাডা-সহ মোট ১৮০টি দেশে ‘বিশ্ব যোগ দিবস’ পালিত হয়েছে।
গত বছরের আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে একাধিক বিশ্বরেকর্ডের সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে ভারতের নামও। তার মধ্যে একটি হল, একই জায়গায় একসঙ্গে সর্বাধিক মানুষের যোগশিক্ষার গিনেস রেকর্ড। এর আগে ২০১৫ সালে দিল্লির রাজপথে একই দিনে ৩৫,৮৮৫ জন একসঙ্গে যোগাভ্যাস করে ওই রেকর্ড গড়েছিলেন। ২০১৭-এ গুজরাতের বস্ত্রপুরের জিএমডিসি মাঠে ৫৪,৫২২ জন মানুষ উপস্থিত হয়ে একসঙ্গে যোগ ব্যায়াম করেছেন এবং যোগ শিক্ষা নিয়েছেন। গুজরাত সরকারের সঙ্গে যৌথ ভাবে ওই অনুষ্ঠানের প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন যোগগুরু রামদেব। গত বছর আমদাবাদ-সহ বস্ত্রপুর জেলার ৪টি শিবিরে জমায়েত হয়েছিলেন প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ। এছাড়া এক ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পুশ-আপ করা, ৫১ ঘণ্টা ধরে ম্যারাথন যোগ চর্চার মতো রেকর্ডও নথিভুক্ত হয়েছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস- বই এ।
স্কুলে যোগ অভ্যাস শিশুদের চাপ এবং উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে
‘বিশ্ব যোগ দিবস’ গোটা দুনিয়ার সঙ্গে নতুন করে যোগসূত্র গড়ে দিয়েছে। ২০১৭-সালে বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে যে বিপুল সাড়া মিলেছে, সেই বিচারে এই দিনটি নিয়ে এ বছরের প্রত্যাশাটা অনেকখানিই ছিল। এ বছরেও একগুচ্ছ পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু গ্রাম-গঞ্চে যোগকেন্দ্রগুলি আজও প্রচারের আলো বা চাকচিক্য থেকে বহু দূরে রয়েছে। সার্বিক যোগ সংস্কৃতি গড়ে তুলতে এবার এই কেন্দ্রগুলির দিকে নজর দেওয়া জরুরি। এইসব যোগকেন্দ্রগুলিতে পরিকাঠামোর অভাবের পাশাপাশি প্রশিক্ষকও নেই। কোথাও আবার এই ছবিটা উল্টো। ফলে, যোগ দিবসের সমারহের সঙ্গে এই প্রত্যন্ত এলাকার কেন্দ্রগুলিকেও পাদপ্রদীপের তলায় নিয়ে আসা খুবই জরুরি বলে মনে করা হয়।