কথায় আছে, ‘শরীর ফিট আর তুমি হিট’। আর তাই শরীরকে ফিট রাখতে ব্যায়াম করা প্রয়োজন। সুস্থ থাকতে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। কিন্তু কখন করবেন আর কখন করবেন না তা অনেকেই জানেন না। এ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের ডিন এবিএম আবদুল্লাহ বলেন, শরীর সুস্থ রাখতে ব্যায়াম করা জরুরি। তবে ব্যায়ামের সময় নিয়ে অনেকেই সমস্যায় পড়েন। কেউ কেউ চাইলেও সময়মতো উঠতে পারেন না। আবার সময় পেলে ব্যায়াম করা ঠিক হবে কি না বুঝতেও পারবেন না। নিয়মিত ব্যায়াম করলেই শরীর সুস্থ থাকবে, তাও নয়।
কখন ব্যায়াম করবেন এবং কখন ব্যায়াম করবেন না সে সম্পর্কে
এবিএম আবদুল্লাহর পরামর্শ হলো-
- সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরই ব্যায়াম করা যেতে পারে। দীর্ঘ ঘুমের পর সকালে ব্যায়াম করা আপনাকে সারাদিন শক্তিমান রাখতে পারে।
- এছাড়া সন্ধ্যার আগে বিকেলটাও ব্যায়ামের জন্য ভালো সময়। যেহেতু ব্যায়ামের ফলে শরীরে ঘাম হয়, তাই হালকা আবহাওয়ায় ব্যায়াম করা ভালো।
- বিকেলে বা গরম আবহাওয়ায় ব্যায়াম করলে আপনি সহজেই ক্লান্ত বোধ করতে পারেন। তাই এ সময় ব্যায়াম না করাই ভালো।
- অনেকেই সারাদিন ব্যস্ততার জন্য সময় বের করতে পারেন না, রাতে ব্যায়াম করেন। তাতে কোনো সমস্যা নেই।
যারা সারাদিন বাসায় থাকেন তারা যখন খুশি ব্যায়াম করতে পারেন।
ব্যায়ামের সময় খুব বেশি খাওয়া বাঞ্ছনীয় নয়। কলা বা বিস্কুটের মতো হালকা খাবার খাওয়া ব্যায়ামে সাহায্য করতে পারে।
সকালে ব্যায়াম করার সময়, অনেকে ব্যায়াম করে পরিপূর্ণ বাড়ি ফিরেন। এতে ব্যায়ামের কোনো উপকারিতা নেই।
যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন, তারা দীর্ঘ সময় বিশ্রামে বা কোথাও বেড়াতে গেলে তাদের খাবারের দিকে নজর রাখুন। আপনি যদি ভ্রমণের সময় বেশিক্ষণ থাকার পরিকল্পনা করেন তবে সুযোগ পেলে কিছু ব্যায়াম করতে পারেন।
ব্যায়ামের আগে বা পরে খুব বেশি পানি পান করা ঠিক নয়। ব্যায়ামের পর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে তারপর পানি পান করতে পারেন।
খাবারের মেন্যু থেকে যতটা সম্ভব মিষ্টি, কোমল পানীয়, ফাস্টফুড ইত্যাদি এড়িয়ে চলাই ভালো। কারণ, এসব খাবার খেলে আপনার ব্যায়াম অকেজো হয়ে যাবে।
আপনি অসুস্থ হলে ব্যায়াম করার প্রয়োজন নেই। বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ব্যায়াম করা উচিত নয়।
যেকোনো ধরনের ব্যায়াম বা ডায়েট প্ল্যান ডাক্তারের সাথে আলোচনা করে করা উচিত।