রমজানে বাড়ছে হার্ট এ্যাটাক এর প্রবনতা। অন্যান্য সময়ের চেয়ে এই রমজানে ইফতারের পর পর’ই হাসপাতালে হার্ট এ্যাটাক নিয়ে রোগীর সংখ্যা বেশ বেশি।

সর্বসাধারণ হার্ট এ্যাটাকের এই ব্যাথা কে’ ভুল বুঝে এসিডিটির বা’ Gas এর পেইন মনে করেন এবং এন্টাসিড বা’ ইনো টাইপ কিছু খেয়ে নেন, কিন্তু সেটা যদি সত্যিকারেই হার্টের পেইন হয় তবে এর পরিণাম হয় বেশ জটিল।

রমজানে সারা দিন রোজা রেখে ভাজা-পোড়া বা ভারী/গুরু পাক খাবার হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

আবার বেশি খাবার এক সংগে খেলে’ও পাকস্থলী

অস্হির হয়ে পরে এবং এই খাবার ডাইজেস্ট করতে
বেশি মাত্রায় শক্তির প্রয়োজন পরে।

পাকস্থলীর এ’ অতিরিক্ত শক্তির জন্য তার রক্তের চাপ বেশি দরকার হয় ফলে এই অতিরিক্ত শক্তি যোগান দিতে হার্টের উপর চাপ পরে এবং ঠিক তখনই ঘটে যেতে পারে বিপদজনক দুর্ঘটনা। রোজায় সারাদিন না খেয়ে আমরা স্বাভাবিকভাবেই বেশ ক্ষুধার্ত থাকি। তাই বলে ইফতারিতে গোগ্রাসে না’ খেয়ে পরিমিত এবং সুসম খাবার খাওয়াই স্বাস্থ্যকর।

কিন্তু তারপর’ও তো’ আমরা মানুষ অনেক সময়েই নিয়মের তোয়াক্কা না’ করেই অতিরিক্ত এবং আন-হেলদি খাবার খেয়ে ফেলি। ফলে আমাদের নিজেদের কেয়ার লেসের কারনেই হোক বা’ অজান্তেই হার্ট এ্যাটাকের ঝুঁকিতে পরে যাচ্ছি।

ফলশ্রুতিতে ভারী খাবার গ্রহণের ২’ঘন্টার মধ্যেই হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায় প্রায় চারগুণ। আর তাই ইফতারে পরিমিত খাবার উচিৎ। প্রয়োজনে অল্প অল্প করে বার বারে খাওয়া যেতে পারে। পাশাপাশি নিজের স্বজনদের খাবারের দিকেও নজর দেয়া দরকার।

রমজান হোক সুখকর এবং আনন্দের, সুস্বাস্থ্য নিহঃচিত হোক সকলের এই শুভ কামনা রইলো।

Leave a Comment