বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোন আমাদের জীবনে একটা আবশ্যিক প্রয়োজনীয় বস্তু। কিন্তু অনেক সময় এটা’ হ্যাকার দ্বারা এফেক্টেড হলে হতে পারে নানাবিধ ঝামেলা বা’ সর্বনাশ।
বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির ব্যবহার প্রতিনিয়ত যেমন বাড়ছে, তেমনই বাড়ছে এর অপব্যবহারও। প্রযুক্তির এই অগ্রগতিতে কমবেশি সকলেই এখন মোবাইল বা’ সেল ফোন ব্যবহার করেন। আর এ মোবাইলকে কাজে লাগিয়েই হ্যাকাররা করতে পারে সর্বনাশ, এমনকি শুধু ফোন নম্বর হাতাতে পারলেই নানা রকম বিড়ম্বনা তৈরি করতে পারে হ্যাকাররা।
ব্যক্তিগত তথ্য:
কেবলমাত্র ফোন নম্বর ব্যবহার করে হ্যাকাররা বিভিন্ন ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে। বিশেষ ভাবে অসুরক্ষিত ওয়েবসাইটে ভিজিট করলে এই আশঙ্কা বেড়ে যায় বহুলাংশে। ব্যাংকেরর তথ্য, ব্যক্তিগত ছবি ও প্রিয়জনদের তথ্য হাতিয়ে এক দিকে যেমন টাকা পয়সা চুরি করে নিতে পারে হ্যাকাররা তেমনই ব্যক্তিগত তথ্য অপব্যবহারের ভয় দেখিয়ে চাইতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়য়াদি।
অপব্যবহার:
শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির তথ্য হাতানোই নয়, নম্বর এবং ফোন ব্যবহার করে হ্যাকাররা নানা ধরনের জোচ্চুরি ও নাশকতা মূলক কাজ’ও করতে পারে, অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অজান্তেই তাঁর নম্বর ব্যবহার করে করতে পারে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে।
স্পুফিং:
অপরিচিত অন্য কোনও নম্বর থেকে ফোন আসলে’ও মোবাইলে চুরি যাওয়া ফোন নম্বর ভেসে ওঠাকেই সহজ ভাষায় বলে স্পুফিং। এর ফলে যাঁর নম্বর চুরি গিয়েছে তাঁকে চেনেন এমন ব্যক্তিদের ঠকাতে সুবিধা হয়। ২০১৯ সালের তথ্য বলছে, শুধু ওই বছরেই সার বিশ্বে প্রায় ২৬০০ টি প্রতারণামূলক ফোন করা হয়েছে। এ’ ধরনের ফোন এতটা’ই বিপজ্জনক যে শুধু হ্যাঁ-না বললেও চুরি হয়ে যেতে পারে আপনার তথ্য।
মেসেজ বার্তা:
অনেক সময় নম্বর হাতিয়ে নেওয়ার পর সেই নম্বর ব্যবহার করে হ্যাকারে’রা বিভিন্ন প্রতারণামূলক মেসেজ পাঠায়। এ ধরনের মেসেজে বিভিন্ন ধরনের লিংক থাকে। এক বার ওই লিংক টাচ করলেই হ্যাক হয়ে যেতে পারে অপর ব্যক্তির ফোন’টি। একে ফিশিং বলে।
স্পাইওয়্যার:
অনেক ক্ষেত্রে মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে ছড়িয়ে দেওয়া হয় ক্ষতিকর সফট-ওয়্যার।
কাজেই আপনার যদি সন্দেহ হয় আপনার নম্বরটি হ্যাক হয়েছে, তবে অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে কথা বলুন। প্রয়োজনে কিছু দিনের জন্য ব্লক বা’ বন্ধ করে দিতে বলুন আপনার নম্বর। বিশেষ প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বিভাগের সাথে’ও যোগাযোগ করতে পারেন। তবে হ্যাকার থেকে রক্ষা পেতে মূলত আপনার সচেতনতাই যথেষ্ট।
