বেশ সুন্দর এবং যুগোপযোগী একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের কর্ণাটক আদালত। তবে ঠিক যতবার এই সংবাদটি আমাদের সামনে আসছে তার সাথে নিয়ে আসছে আমাদের দেশীয় মানুষের মূর্খতার চরম প্রকাশ। মন্তব্য-ঘরে গাধার দল বসে বসে মুড়ি গিলছে আর কর্ণাটক আদালতকে খিস্তি আওরাচ্ছে। তার প্রধান কারণ কোনো বিষয় নিয়ে সম্পূর্ণ অজ্ঞতা।

দেশের সিংহভাগ অংশ এখনো ‘ম্যারিটাল রেইপ’ এর সাথে পরিচিত না। তারা এখনো ভাবে, বিয়ে করার পর বউ তার পোশাক। তাকে যা মন চায়, যখন মন চায় দাসীর মতো খাটাবো। না দেখবে পিরিয়ডের সমস্যা, না দেখবে অনুভূতি, জোরপূর্বক শুধু যৌনতার দিকে ধাবিত হতে চায় তারা।

না মানে না, বিয়ে করা বউ হোক আর যে-ই। অসম্মতিতে মিলন করা কিংবা করার চেষ্টা করা অবশ্যই ধর্ষণের অন্তর্ভুক্ত, তা ছেলে হোক কিংবা মেয়ে। সম্মতির অনুপস্থিতি থাকা মানেই সেখানে অপরাধ সংগঠিত হওয়ার প্রবনতা বেশ জোরালো। এর থেকে উৎরানোর প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে সকলকে বাধ্যতামূলক যৌনশিক্ষা দেওয়া দরকার, নয়তো ইউটিউব আর ফেসবুকে বয়ানবাজ ধর্মীয় গুরু, হাতুড়ি ডাক্তারের বক্তৃতা শুনে শুনে একেকজন পাষণ্ড হয়ে উঠছে। জানার ইচ্ছা তাদের মরে গিয়ে, মিথ্যে জ্ঞানে নিজের ভেতরকার পশু তখন মাথাচাড়া দিয়ে জেগে ওঠে।

হ্যাঁ, বিয়ের পরেও রেইপ হয়। লোকলজ্জা, সামাজিক অবকাঠামো, নিয়ম ভেঙে যাওয়ার ভয়ে অনেকেই তা মুখ ফুটে বলতে চায় না। কিংবা তা কোনোভাবে বললেও পরিবার থেকেই ধামাচাপা দিয়ে পুনরায় সেই নরাধমের সাথে একই বিছানায় শু’তে বাধ্য করে।

বন্ধ দরজার পেছনে অনেককিছুই হয়। তা জানতে হবে, ধারণায় আনতে হবে৷ সন্তান বিয়ে দিলেন আর বিয়ে করালেন, তারপর পরিবারের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না, বরং সেখান থেকে দায়িত্বের গুরুভার শুরু হয়। চোখকান খোলা রেখে অপরাধগুলোকে একসাথে না বলুন। জীবন সুখের হবে, সাচ্ছন্দ্যে ভরে উঠবে।

Leave a Comment