আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে চোগলখোরদের ধিক্কার জানিয়েছেন। কুরআনের এই আয়াত থেকে চোগলখোরের পরিচয় প্রকাশ পেয়েছে। মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এবং অনুসরণ কর না তার; যে কথায় কথায় শপথ করে, যে লাঞ্ছিত। পশ্চাতে নিন্দাকারী; যে একের কথা অপরের কাছে লাগিয়ে বেড়ায়।’ (সুরা ক্বালাম : আয়াত ১০-১১)
হাদিসের এসেছে, ‘কিয়ামতের দিন সবচেয়ে খারাপ লোকদের দলভুক্ত হিসেবে ঐ ব্যক্তিকে দেখতে পাবে; যে ছিল দু’মুখো- যে এক জনের কাছে এক কথা আরেক জনের কাছে আরেক কথা নিয়ে হাজির হত।’ (সহিহ মুসলিম)
গীবত করাকে আল্লাহ তাআলা মৃত ভাইয়ের মাংস খাওয়ার সাথে তুলনা করেছেন, যেন মানুষ সচেতন হয়। তাছাড়া হাদিসেও ভয়ানক আযাবের কথা রয়েছে। গীবত কী? নবী সা. তার জবাব দিয়েছেন। হাদিসটি আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, একদিন রাসূলুল্লাহ সা.-কে প্রশ্ন করা হলো, গীবত কী?
উত্তরে তিনি বললেন, তোমার ভাই সম্পর্কে তোমার এমন কিছু বলা যা শুনলে সে অসন্তুষ্ট হয়। তাকে পুনরায় প্রশ্ন করা হলো, আমি যা বলি সে বিষয় যদি আমার ভাইয়ের মধ্যে বর্তমান থেকে থাকে? উত্তরে তিনি বললেন, যা তুমি বলো যদি তা তার মধ্যে থাকে তবে তুমি তার গীবত করলে। আর যা তুমি বলো যদি তা তার মধ্যে না থাকে তাহলে তুমি তাকে মিথ্যা অপবাদ দিলে। (সুনানে আন-নাসায়ী : হাদিস নং ৪৮৭৪)।
আমরা যদি এমন হই,যদি কারো গীবত না করি, কারো দোষ চর্চা না করি, অন্যের দোষ প্রকাশ না করি, তাহলে আল্লাহ আমাদের দোষও গোপন রাখবে। আমরা কঠিন আযাব থেকে বেঁচে যাবো। হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি কোন মু’মিনের দোষ-ত্রুটি গোপন করবে (প্রকাশ করবে না), আল্লাহ তা’আলা দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবেন। (সহীহ মুসলিম : হাদিস নং ২৬৯৯)।