ইতিহাস থেকে যতটুকু জানা যায় ৬১০ হিজরীতে শবে কদরের রাত্রে মক্কার নূর পর্বতের হেরা গুহায় ধ্যানমগ্ন নবী মুহাম্মদ (সাঃ)এর নিকট সর্বপ্রথম কোরআন নাজিল হয়। তবে কোন কোন মুসলিমের ধারণা রসুলের নিকট প্রথম সূরা আলাক্বের প্রথম পাঁচটি আয়াত নাজিল হয়।আবার অনেকের মনে করে থাকেন এই রাতে ফেরেশতা জীবরাইলের নিকট সম্পূর্ন কোরআন একসাথে অবতীর্ন হয় যা পরবর্তিতে তেইশ বছর ধরে নবী করিম (সাঃ) নিকট বিভিন্ন প্রয়োজনীয়তা এবং ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নির্দিষ্ট আয়াত আকারে নাজিল হয়।

কদরের রাতের সকল কাজের প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে এই রাতের অপার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে মহান আল্লাহ তালা পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করেছেনঃ হা-মীম! শপথ সুস্পষ্ট গ্রন্থের, নিশ্চয়ই আমি তা কোরআন এক মুবারকময় রাতে অবতীর্ণ করেছি, নিশ্চয়ই আমি সতর্ককারী। এ রজনীতে প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়। (সূরা আদ-দুখান, আয়াত: ১-৪)

হাদীসের বর্ননা মতে, লাইলাতুল কদরের রাতে যে বা যারা আল্লাহর ধ্যানে মুহ্যমান থাকবে, মহান আল্লাহ্‌ তাঁর ওপর থেকে দোজখের আগুন হারাম করে দেবেন। এ সম্পর্কে হাদীস, সারা রাত আল্লাহ তালা লাইলাতুল কদর দ্বারাই সৌন্দর্য ও মোহনীয় করেছেন, অতএব তোমরা এ বরকতময় রাতে বেশি বেশি তাসবিহ-তাহলিল এবং ইবাদত বন্দেগিতে ডুবে থাকো। আরেক হাদিসে বলেছেন, তোমাদের কবরকে আলোকিত পেতে চাইলে মহিমান্বিত লাইলাতুল কদর রজনী জেগে ইবাদত-বন্দেগিতে কাটিয়ে দাও।

আমরা অনেকেই মনে করি রমজান মাসের ২৬শে রমজান দিন পার হয়ে যে রাত আছে সেটাই লাইলাতুল কাদিরে রাত্রী । আসলে আমাদের এ ধারনাটি সম্পুর্ন ভুল । আসল বিষয় হল রমজানের শেষ শেষের দশদিনের ভিতরে যে কোন এক বেজোড় রাতই লাইলাতুল কাদির হতে পারে । আর ২৬শে রমজান রাতে আমাদের দেশের মসজিদগুলোতে কোরআন খতম দেয়া হয়ে থাকে এজন্য এই রাতে প্রতিটি মসজিদে বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয় । তাই এটাই যে লাইলাতুল কদরের রাত সেটাও পরিপূর্ণ বলা যাবে না । শুধু ধারনা করা যেতে পারে ।

Leave a Comment