লাইলাতুল কদরের আমল ও এর ফজিলত

রমজান মাস চলছে। এই পবিত্র মাসের শেষ দশ দিনের বিজোড় যে কোন একটি রাত ভাগ্য নির্ধারণ বা লাইলাতুল কদরের রাত অর্থাৎ ‘শবেকদর’ হিসেবেই অধিক পরিচিত। হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম রাত্রি হচ্ছে এই কদরের রাত্রি। ‘শবে কদর’ শব্দটি ফারসি। যার অর্থ ভাগ্যরজনী বা মর্যাদার রাত। লাইলাতুল কদরের রাতেই পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে।

প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এই রাত্রের ফজিলত বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, ‘এই সৌভাগ্যের রাত্রি যে ব্যক্তি কাজে লাগাতে পারেনি, সে সত্যিকার অর্থেই বঞ্চিত। আর তার মত দুর্ভাগা আর একজনও নেই।’

মহান আল্লাহ ইরশাদ করেছেন: (১) আমি কুরআন অবর্তীণ করেছি শবে কদরে। (২) শবে কদর সম্পর্কে কি আপনি জানেন? (৩) এটি হল হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ এক রাত (৪) এতে প্রতিটি কাজের জন্য ফেরেশতারা এবং জিবরঈল অবর্তীণ হন তাদের পালনকর্তার নির্দেশ ক্রমে। (৫) লাইলাতুল কদর এক নিরাপত্তা যা ফজরের উদয় পর্যন্ত অব্যহত থাকে। ভারতীয় উপমহাদেশসহ পৃথিবীর অনেক দেশের উর্দু,ফারসি, বাংলা, সহ নানা ভাষাভাষী মানুষের কাছে এটি ‘শবে কদর’ নামেই অধিক পরিচিত।

শবে কদরের আমল হলো: ১. তাহিয়্যাতুল অজু, নফল নামাজ, দুখুলিল মাসজিদ, তাহাজ্জুদ,আউওয়াবিন, সালাতুত তাসবিহ তাওবার নামাজ,সালাতুশ শোকর সালাতুল হাজাত, সহ অন্যান্য নফল নামাজ আদায় করা। ২. নামাজের সময় কিরাত ও রুকু-সেজদা দীর্ঘ করা। ৩. কবর জিয়ারত করা; ৪.বেশি বেশি দরুদ শরিফ পড়া; ৫. অধিক পরিমাণে তাওবা-ইস্তিগফার করা; ৬. তাসবিহ-তাহলিল, দোয়া-কালাম,জিকির-আজকার করা; ৭. কোরআন শরিফ সুরা কদর, সুরা মুয্যাম্মিল, সুরা দুখান, সুরা মুদ্দাচ্ছির, সুরা ত-হা, ইয়া-সিন, সুরা আর রহমান ও অন্যান্য ফজিলতপুর্ন সুরাসমূহ তিলাওয়াত করা; ৮. পিতা-মাতার জন্য, নিজের জন্য, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব এবং সকল মোমিন মুসলিমের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা।

আল্লাহ তায়লা বলেন, আমি কুরআন অবর্তীণ করেছি শবে কদরে। শবে কদর সম্বন্ধে আপনি কি জানেন? শবে কদর হল এমন এক রাত যা হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। এই রাতে প্রত্যেক কাজের জন্য ফেরেশতাগণ এবং জিবরঈল অবর্তীণ হন তাদের পালনকর্তার নির্দেশ ক্রমে।(সূরা ক্বদর)

Leave a Comment