মহান আল্লাহ তাআলা তাঁর মুমিন বান্দার দোয়া সব সময় কবুল করে থাকেন। তারপরও আমাদের প্রিয় রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিছু সুনির্দিষ্ট সময়ের কথা হাদিসে উল্লেখ করেছেন। যে সময়গুলোতে দোয়া করলে আল্লাহ তাআলা নিশ্চিতভাবে বান্দার দোয়া কবুল করেন।

আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ের দোয়া

রসুল (সঃ) বলেছেন, ‘আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ের দোয়া ফিরিয়ে দেয়া হয় না।’ (আবু দাউদ)

রজনীর শেষ তৃতীয়াংশে

রসুলে পাক (সঃ) বলেছেন, ‘প্রতিদিন রাতের শেষ তৃতীয়াংশে আমাদের রব প্রথম আসমানে অবতির্ন এবং বলেন, কে আছো? আমাকে ডাকো; আমি তোমার ডাকে সাড়া দেব। কে আছে? আমার কাছে চাও; আমি তোমাকে দান করবো। কে আছো? আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনাকারী; আমি তোমাকে ক্ষমা করে দেব।’ (বুখারি)

জুম্মাবারের দোয়া

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘জুম্মার দিনে একটি সময় আছে যখন কোনো মুমিন নামাজরত অবস্থায় পায় এবং আল্লাহর কাছে কোনো কিছু প্রার্থনা করে, আল্লাহ অবশ্যই সে চাহিদা পুরণ করবেন। এবং তিনি হাত দিয়ে ইশারা করে সে সময়ের সংক্ষিপ্ততার প্রতি ইঙ্গিত দেন।’ (বুখারি)

ফরজরের নামাজের পরের দোয়া

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘রজনীর শেষ সময় এবং ফরজ নামাজের পরবর্তী দোয়া কবুল হয়।’ (মুসলিম)

সেজদারত অবস্থায় দোয়া

রসুল (সঃ) বলেছেন, ‘সেজদার সময় সময়টাতে বান্দা আল্লাহর সবচেয়ে কাছে চলে যায়। অতএব তোমরা তখন আল্লাহর কাছে বেশি বেশি চাও।’ (মুসলিম)

বৃষ্টির সময়ের দোয়া

রসুলে পাক (সঃ) বলেছেন, ‘দুই সময়ের দোয়া ফেরানো হয় না। আজানের সময়ের দোয়া এবং বৃষ্টি বর্ষণের সময়ের দোয়া।’ (আবু দাউদ)

লাইলাতুল কদরের রাতের দোয়া

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে সকল ব্যক্তি ঈমানের সহিত সাওয়াব লাভের আশায় লাইলাতুল কদরে রাত জেগে নামাজ আদায় করে, তাদের আগের (জীবনের) সব গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়।’ (বুখারি)

জিলহজ্ব মাসের প্রথম দশদিনের দোয়া

রসুলে পাক (সঃ) বলেছেন, ‘জিলহজ্ব মাসের প্রথম দশ দিনের আমল অন্য যে কোনে দিনের আমলের চেয়ে উত্তম।’ (বুখারি)

আরাফাতের দিনের প্রার্থনা

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘ আরাফাতের দিনের দোয়া দোয়ার মধ্যে শ্রেষ্ঠ।’ (তিরমিজি)

রোজাদার ব্যক্তির ইফতারের সময়ের দোয়া

রসুল (সঃ) বলেছেন, ‘তিন ব্যক্তির দোয়া কখনো ফিরিয়ে দেয়া হয় না। ন্যায় পরায়ন শাসক। যখন রোজাদার ব্যক্তি ইফতার করে। নির্যাতিত ব্যক্তির দোয়া।’ (মুসনাদে আহমাদ, তিরমিজি)

প্রতিটি মুমিন মুসলিম ব্যক্তির উচিত এই সময় গুলোতে অধিক পরিমান তাওবা-ইসতেগফারের মাধ্যমে আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করা এবং নিজের একান্ত চাহিদাগুলো পূরণের জন্য আল্লাহর কাছে আর্জি করা।

মহান আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উল্লেখিত দিন ও সময়ে তাওবা-ইসতেগফারসহ দোয়া করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Leave a Comment