স্পর্শ বা টাচ হিলিং চিকিৎসায় দেহ ও মনের প্রগাঢ় সংযোগই হলো রেইকি কসমিক পাওয়ার। কিছু বিধিবদ্ধ পদ্ধতিতে বা নিয়মে দেহ ও মনের এই সংযোগ করা হয়, জীবাত্মা ও পরমাত্মার মিলন বা এর তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক বিষয় নিয়ে উপস্থাপিত জ্ঞান বা শাস্ত্রই রেইকি মেডিটেশন ধ্যান শাস্ত্র নামে পরিচিত।

মানব সভ্যতার উষালগ্ন থেকে শরীর ও মনের সুস্থতার জন্য যে অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছিল এবং এই অস্থিরতাকে প্রশান্তির প্রচেষ্টায় বিভিন্ন সময়ে মানুষ যে সকল উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল, তারই ভিতর দিয়ে রেইকি ধ্যান শাস্ত্রের বিকাশ ঘটেছিল। ধারণা করা হয় যে’ রেইকি ধ্যান চর্চা প্রথমে শুরু হয়েছিল জাপানে এবং সেখানেই এটি মূলত বিকশিত ও লালিত হয়েছিল। পরবর্তীতে এই রেইকি চর্চা আমাদের এই সাব কন্টিনেন্ট বা ভারত বর্ষে প্রচলিত এবং ব্যাবহৃত হয়। প্রাচীন ভারতের মুনি ঋষিরা এবং আল্লাহর প্রিয় বান্ধারা এই চর্চাকে একটি পরিশীলিত শাস্ত্রে বা বিদ্যায় পরিণত করেছিলেন।

সেই কারণে রেইকি শাস্ত্র বলতেই জাপান ও ইউরোপের পর ভারতীয় দর্শনকেই বুঝায়। ভারতীয় আধ্যাত্মিক গুরুরা তাঁদের অধ্যাত্ম চর্চার জন্য ধ্যানস্থ হতেন তারা মনে করতেন, পরমাত্মা বা ঐশ্বরিক শক্তির সাথে জীবাত্মার মিলনই হলো রেইকি ধ্যান। পৌরাণিক কাহিনী গুলো থেকে জানা যায়, এই প্রক্রিয়ার ভিতর দিয়েই তাঁরা তাঁদের সাধনায় সিদ্ধিলাভ করতেন। রেইকি ধ্যান বলে তাঁরা যে অসাধ্য সাধন করতে পারতেন, তার বর্ণনা পাওয়া যায় পুরাতন পাঠ্য পুস্তক পড়ে, রেইকি গবেষনা করে এবং রেইকি চর্চা করে। তাই রেইকি চর্চা করলে এক দিকে যেমন শরীরের এবং মনের ব্যায়াম হয় অন্য দিকে রেইকির পজেটিভ শক্তিতে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ থেকে রোগ গুলো নিমিষেই ঝরে যায়।

Leave a Comment