কিছু কিছু ব্যক্তি আছেন, যারা এমন আচরণ করেন, যা কিনা অন্যের জন্য বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আর এদের সঙ্গে হয়তো আপনাকে হরহামেশাই ওঠবস করতে হয় অথবা আপনি নিজেই এমন কোন কাজ করে থাকেন মনের অগোচরে। চলুন ব্যক্তির কিছু অভ্যাসের কথা জেনে নেওয়া যাক, যা শুধু বিরক্তির উদ্রেক করে।
বিরক্তিকর অভ্যাস একঃ (প্লেন বা বাস)
বাস বা প্লেনের সিটে যখন কেউ খুব আয়েশই ভঙ্গিতে বসে, তখন সে অন্যের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। নিজের অতিরিক্ত আরাম করে বসার জন্য হয়তো সে অনেকটা পেছনে হেলান দিয়ে বসে কিংবা সামনের সিটে পা দিয়ে ধাক্কা দেয়। এক্ষেত্রে অন্য যাত্রীদের বসতে কষ্ট হয়। যাত্রাপথে এমন ব্যক্তি সঙ্গি হলে বিরক্তির উদ্রেক হয়।
![আপনার যে অভ্যাস গুলো অন্যদের কাছে বিরক্তিকর](https://www.selfhealinghub.com/wp-content/uploads/2022/05/আপনার-যে-অভ্যাস-গুলো-অন্যদের-কাছে-বিরক্তিকর1-1024x576.jpg)
বিরক্তিকর অভ্যাস দুইঃ (অজানা কোনো ব্যক্তি)
অজানা কোনো ব্যক্তি যখন আপনার দিকে একটানা তাকিয়ে থাকবে, তখন কিন্তু ভালো লাগার থেকে অস্বস্তিই বেশি হবে। আর এটা বিরক্তকর তো বটে।
বিরক্তিকর অভ্যাস তিনঃ (মুভিতে কী হচ্ছে না হচ্ছে)
মুভিতে কী হচ্ছে না হচ্ছে, সেগুলো যদি জোরে জোরে কেউ সিনেমা হলে বলতে থাকে, তাহলে বিরক্ত না হয়ে উপায় আছে বলুন? এমন ব্যক্তির সঙ্গে মুভি হলে দেখা হলে সেই সময়টা আপনাকে প্রচুর ধৈর্য ধরতে হবে।
বিরক্তিকর অভ্যাস চারঃ (পেছনে দাঁড়িয়ে থাকে)
আপনি যখন কম্পিউটারে কোনো কাজ করছেন, তখন যদি কেউ এসে পেছনে দাঁড়িয়ে থাকে, তাহলে তো বিরক্ত হয়াটাই স্বাভাবিক। এধরনের অভ্যাস অনেকেরই রয়েছে, যাঁরা পেছনে দাঁড়িয়ে অন্যের কাজ দেখতে খুব আনন্দ পান।
বিরক্তিকর অভ্যাস পাঁচঃ
আপনি কথা বলতে থাকলে যখন কিছুক্ষণ পরপর কেউ যদি ‘কী?’ বলে তাঁর প্রতিক্রিয়া দেখাবেন, তখন তো বিরক্ত লাগতে পারে। দুএকবার হলে ঠিক আছে। তবে প্রতিবারই এমনটা করতে থাকলে আপনি নিশ্চয়ই তাঁর সঙ্গে কথা বলার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন।
![আপনার যে অভ্যাস গুলো অন্যদের কাছে বিরক্তিকর](https://www.selfhealinghub.com/wp-content/uploads/2022/05/আপনার-যে-অভ্যাস-গুলো-অন্যদের-কাছে-বিরক্তিকর2-1024x576.jpg)
বিরক্তিকর অভ্যাস ছয়ঃ কফি পরে গেল
হঠাৎ করে আপনার গায়ে কফি পরে গেল কিংবা সিঁড়ি থেকে নামতে গিয়ে আপনি পড়ে গেলেন। তখন আপনাকে সাহায্য করা তো দূরের কথা, উল্টো কেউ একজন হাসতে শুরু করল। এ ধরনের ব্যক্তিদের কার পছন্দ হবে বলুন?
বিরক্তিকর অভ্যাস সাতঃ জোরে দরজা বন্ধ
যখন কেউ ঘরে ঢুকে খুব জোরে দরজা বন্ধ করে, তখন অন্যরা খুবই বিরক্ত হয়। এই অভ্যাস যাদের আছে, তারা শুধুমাত্র নিজের বাসা নয়, অন্য যেকোনো জায়গায় গেলেই একই আচরণ করে।
বিরক্তিকর অভ্যাস আটঃ
যখন কেউ সঙ্গীকে সময় দেওয়ার পরিবর্তে নিজের স্মার্টফোনকে বেশি সময় দেয়, তখন বিরক্তির পাশাপাশি মেজাজও হয়ে যায়।
বিরক্তিকর অভ্যাস নয়ঃ
অনেক সময় কোনো কিছুর জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলে কেউ কেউ আছেন অন্যের শরীরের সঙ্গে ঘেঁষে দাঁড়াতে পছন্দ করেন। আপনি যতই বিরক্ত হোন না কেন, তিনি এভাবেই দাঁড়িয়ে থাকবেন।