ইয়োগা অনুশীলনের সময় যে সতর্কতাগুলা অবশ্যক

সুস্থ-সুন্দর জীবনশৈলীর জন্য ইয়োগা বা যোগব্যায়াম বা যোগের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। প্রতিদিন আধা ঘণ্টা যোগব্যায়াম অনুশীলন করে দিন শুরু করলে আপনার দিনটা হয়ে উঠবে আরও সুন্দর। শরীরটা যেমন ঝরঝরে থাকবে, মনটা থাকবে সতেজ। তবে যোগচর্চার আগে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। না হলে উপকারের পরিবর্তে ক্ষতিও হতে পারে।

যেকোনো বয়সের মানুষই যোগব্যায়াম বা ইয়োগা অনুশীলন করতে পারেন। তবে বেশ কিছু নিয়ম মেনে ইয়োগা করা উচিত।

ভরা পেটে যোগচর্চা করবেন না। সকালে বা সন্ধ্যায় খালি পেটে যোগচর্চা করা সর্বোত্তম। খাওয়ার পর একমাত্র বজ্রাসন অনুশীলন করা উপকারী।

• যোগচর্চায় শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ খুব গুরুত্বপূর্ণ। যখন সামনে ঝুকবেন, অর্থাৎ বুক তথা ফুসফুস সংকুচিত হবে তখন অবশ্যই শ্বাস ত্যাগ করতে করতে ধীরে ধীরে আসন চর্চা করতে হবে। যখন পেছনে ঝুকবেন, অর্থাৎ বুক বা ফুসফুস প্রসারিত হবে তখন অবশ্যই শ্বাস গ্রহণ করতে করতে ধীরে ধীরে আসন চর্চা করতে হবে। অন্যথায় আপনার উপকারের পরিবর্তে ক্ষতি হতে পারে।

ইয়োগা অনুশীলনের সময় যে সতর্কতাগুলা অবশ্যক
ইয়োগা অনুশীলনের সময় যে সতর্কতাগুলা অবশ্যক

খালি মেঝেতে বা মাটিতে বসে যোগচর্চা করা ঠিক নয়। আজকাল বাজারে যোগব্যায়াম বা ইয়োগা ম্যাট কিনতে পাওয়া যায়। যোগচর্চার জন্য এগুলো বেশ উপযোগী।

• হালকা ও ঢিলেঢালা পোশাক পরে যোগানুশীলন করবেন। কারণ এসময়ে আপনার শরীরে রক্তপ্রবাহে কোথাও কোনো বিঘ্ন ঘটা উচিত না

• ছয় বছর বয়স থেকে সর্বোচ্চ যেকোনো বয়সের সুস্থ মানুষ যোগচর্চা করতে পারেন। তবে অসুস্থ অবস্থায়, সার্জিক্যাল অপারেশনের পর, মেয়েদের মাসিক চলাকালীন যোগচর্চা থেকে বিরত থাকতে হবে।

ইয়োগা অনুশীলনের সময় যে সতর্কতাগুলা অবশ্যক
ইয়োগা অনুশীলনের সময় যে সতর্কতাগুলা অবশ্যক

• যোগচর্চার পরিবেশটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও আলো-বাতাসপূর্ণ হওয়া বাঞ্ছনীয়। কোলাহলপূর্ণ বা মন বিক্ষিপ্ত হতে পারে এমন স্থান যোগের সহায়ক নয়।

• যাদের হার্টের সমস্যা আছে, সার্জারি হয়েছে, উচ্চরক্তচাপ বা ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের এবং মাসিক ও গর্ভাবস্থায় যোগ অনুশীলনের জন্য যোগ প্রশিক্ষকের দিকনির্দেশনা মেনে চলা উচিত।

• আসন অনুশীলনের সময়ে শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখবেন। দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস মনকেও চঞ্চল করে দেয়। আবার চঞ্চল মনও শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত করে দেয়। তাই মনকে স্থির রেখে শরীরের নড়াচড়ার দিকে মনোযোগ দিন। সেইসঙ্গে শ্বাস গ্রহণ ও ত্যাগের দিকে খেয়াল রাখুন।

• একটি জরুরি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, আপনি যদি সামনে ঝুকে কোনো আসন চর্চা করেন, তাহলে পেছনে ঝুকেও কোনো আসন করতে হবে। উপুর হয়ে কোনো আসন করলে, চিৎ হয়েও করতে হবে। বাম দিকে মুভমেন্ট করলে ডান দিকেও করতে হবে। ব্যাকপেইন থাকলে সামনে ঝুকে ব্যায়াম বা কাজ করা যাবে না।

• যোগব্যায়াম বা ইয়োগা সুস্থ মানুষকে আজীবন সুস্থ-সবল ও রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্ত রাখে। আর অসুস্থ মানুষ যদি তার ব্যাধি অনুযায়ী অভিজ্ঞ যোগশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে যোগচর্চা করেন তাহলে তিনিও সুস্থ হয়ে উঠে জীবনকে নতুন করে উপভোগ করতে পারবেন।
• যোগব্যায়াম বা ইয়োগা বা যোগচর্চার জন্য এগুলো মূল সতর্কতা। আরও কিছু নিয়ম রয়েছে যা ধীরে ধীরে জেনে নেওয়া ও চর্চা করা উচিত।

Leave a Comment