পাশ্চাত্যে অনেক গবেষণা দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে, সকল ধরনের ব্যায়ামের মধ্যে ইয়োগা সেরা। কারণ মানুষের শুধু দেহই নয়, রয়েছে একটি সংবেদনশীল মন। আর এই দেহ ও মন জন্মাবধি পরস্পরের সাথে সম্পর্কযুক্ত। মনের প্রভাব যেমন দেহে পড়ে ঠিক তেমনি দেহের সুখ-অসুখও প্রভাবিত করে আমাদের মনকে। আর ইয়োগা হচ্ছে একমাত্র ব্যায়াম, যেখানে দেহের সাথে সাথে আপনি আপনার মনকেও সম্পৃক্ত করতে পারেন।যোগব্যায়াম ইয়োগা মনের অস্থিরতা ও বিষণ্নতা দূর করে। এসব কারণে পাশ্চাত্যেও ইয়োগার জনপ্রিয়তা ও চর্চা দিন দিন বাড়ছে।

উষ্ট্রাসন Ustrasana (যোগব্যায়াম)

পদ্ধতি : হাঁটু গেড়ে (নিল ডাউন ভঙ্গিতে ) বসুন। পিছন দিকে হেলে দু’ হাত দিয়ে পায়ের গোড়ালি ধরে মাথা পিছনের দিকে ঝুলিয়ে দিয়ে আস্তে আস্তে পেট সামনের দিকে এগিয়ে দিন। ডান হাতের বুড়ো আঙুল ডান গোড়ালির ভিতর দিকে ও অন্য আঙুলগুলি বাইরের দিকে থাকবে।

এক নজরে উষ্ট্রাসন (Ustrasana) এর উপকারিতাঃ

– পেটের মেদ কমাতে খুব বেশি কার্যকর
– কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে খুবই কার্যকরী
– খুব ভাল কাজ করে টনসিলের উপশমে
– হার্ট ফুসফুসের রোগ ভালো হয়

 

ত্রিকোণ আসন Trikonasana (যোগব্যায়াম)

পদ্ধতি : দু’ পা হাত পরিমাণ ফাঁক করে সোজা হয়ে দাঁড়ান। দু’ হাত কাঁধ বরাবর তুলুন যাতে হাত দু’টি এক সরলেরখায় থাকে। এ অবস্থায় আস্তে আস্তে ডান দিকে ঝুঁকে ডান হাত দিয়ে ডান পায়ের বুড়ো আঙুল স্পর্শ করুন। বাঁ হাত ওপরের দিকে ওঠান যেন বাঁ হাত ডান হাতের সঙ্গে একই সরলেরখায় থাকে।

এক নজরে ত্রিকোণ আসন (Trikonasana) এর উপকারিতাঃ

– পেটের মেদ-ওজন কমাতে খুব কার্যকর
– সায়াটিকা রোগ ভালো হয়
– পিঠে ব্যাথা দূর হয়
– কিডনি ভালো থাকে

 

 

অর্ধচন্দ্রাসন Ardha Chandrasana (যোগব্যায়াম)

পদ্ধতি : পা জোড়া করে দাঁড়ান। দু’ হাত করজোড়ে ওপরে তুলে কানের দু’ পাশে রাখুন বা এক হাতের বুড়ো আঙুল দিয়ে অপর হাতের বুড়ো আঙুল জড়িয়ে ধরুন। কোমর থেকে ওপরের অংশ পিছনে বেঁকান যেন কোমর থেকে দেহের ওপরাংশ ভূমির সঙ্গে সমান্তরাল থাকে।

এক নজরে অর্ধচন্দ্রাসন (Ardha Chandrasana) এর উপকারিতাঃ

– কোমরের মেদ-চর্বি কমাতে খুব কার্যকর
– কিডনি ভালো থাকে এবং সমস্যা দূর হয়
– এন্ড্রিনাল গ্লান্ড সুস্থ থাকে
– মেরুদণ্ড নমনীয় হয়

 

অর্ধকূর্মাসন (Half Kurmasana) (যোগব্যায়াম)

পদ্ধতি : হাঁটু গেড়ে পায়ের পাতার ওপর বসুন। হাঁটু দু’টি জোড়া থাকবে। এ বার হাত দু’টি সোজা করে ওপরে তুলে নমস্কারের ভঙ্গিতে জোড়া করুন। হাত কানের সঙ্গে ঠেকে থাকবে।

এক নজরে অর্ধকূর্মাসন (Half Kurmasana) এর উপকারিতাঃ

– পেটের চর্বি দূর হয়
– হাটুর ব্যাথা দূর হয়
– পায়ের গোড়ালি ব্যাথা দূর হয়

 

হলাসন Halasana (যোগব্যায়াম)

১ম পদ্ধতি : চিত হয়ে শুয়ে হাত দু’টি পাশে রাখুন। পা দু’টি জোড়া অবস্থায় মাটি থেকে তুলে আস্তে আস্তে মাথার পেছনে নিয়ে যান এবং পায়ের আঙুলগুলি মাটিতে ঠেকান। দু’ হাঁটু যেন না বেঁকে।

এক নজরে হলাসন (Halasana) এর উপকারিতাঃ

– টনসিল এবং ঠান্ডা জনিত সমস্যা দূর হয়
– পরিপাক তন্ত্রের গতিশীলতা রাড়ে
– মেরুদন্ডের নমনীয়তা বৃদ্ধি পায়
– কোষ্ঠকাঠিন্য বা কনস্ট্রিপিশন ভালো হয়

 

পশ্চিমোত্তাসন Paschimottanasana (যোগব্যায়াম)

পদ্ধতি : চিত হয়ে শুয়ে দু’ হাত তুলে মাথার দু’ পাশে ওপরের দিকে রাখুন। আস্তে আস্তে উঠে বসে সামনে ঝুঁকে দু’ হাত দিয়ে জোড়া পায়ের বুড়ো আঙুল ধরুন। কপাল দু’টি পায়ের মাঝখানে ঠেকান এবং বুক ও পেট ঊরুতে লাগান, হাঁটু ভাঁজ হবে না।

এক নজরে পশ্চিমোত্তাসন (Paschimottanasana) এর উপকারিতাঃ

– আমাশয় রোগ উপকার হয়
– পেটের চর্বি কমায়
– বদ হজম দূর করে
– লম্বা হতে সহায়ক

 

ভদ্রাসন Bhadrasana (যোগব্যায়াম)

পদ্ধতি : প্রথমে সুখাসনে (বাবু হয়ে) বসুন। এ বার পা দু’টি খুলে এগিয়ে দিন।

এক নজরে ভদ্রাসন (Bhadrasana) এর উপকারিতাঃ

– পেট ফাপা গ্যাস দূর হয়
– স্ত্রী রোগের উপকার হয়
– জননগ্রন্থি উপকৃত হয়
– পরিপাকতন্ত্র উপকৃত হয়

Leave a Comment