ছোটবেলার স্বপ্ন ছিল চিকিৎসক হবেন, ডাঃ ঐন্দ্রিলা আক্তার হয়েছেনও। তবে একটু ভিন্যরকম চিকিৎসক। তিনি বর্তমানে দেশের বিশিষ্ট ন্যাচারোপ্যাথি এবং ইয়োগা কনসালটেন্ট হিসাবে পরিচিত। তবে এর জন্য অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে ঐন্দ্রিলাকে। করতে হয়েছে অনেক অধ্যবসায়ও।
কোন প্রকার যন্ত্রপাতি ছাড়াই কেবলমাত্র হাত আর পায়ের তলায় চাপ দিয়েই বলে দেয়া যায় কার শরীরে কি অসুখ বাসা বেঁধে আছে! আবার এই আকুপ্রেসার থেরাপি নিয়মিত করলে দীর্ঘদিন ধরে খাওয়া ওষুধগুলোও একটা সময় আর খেতে হয় না! অর্থাৎ ওষুধ নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসা যায়। এতে সুস্থ হতে দেখেছি ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, পাইলস, মাইগ্রেন, কোলেস্টেরল, এ্যাজমা, কোষ্ঠবদ্ধতা, গ্যাস্ট্রিক, কোমড় ব্যথা, যৌন সমস্যাসহ আরও নানা রকমের অসুখ থেকে।
২০০৮ সালে অনার্স ফাইনাল ইয়ারে পড়ার সময় ক্লাসের এক শিক্ষকের মাধ্যমে আকুপ্রেসারের একটা কোর্সে সম্পৃক্ত হন ঐন্দ্রিলা। সেই থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত একটানা এই চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করেছেন। এর মধ্যে মাস্টার্স অব সোশ্যাল ওয়ার্ক ডিগ্রীও সম্পন্ন করেন।
পাশাপাশি বাংলাদেশে বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে অসংখ্য সেমিনার, ক্যাম্প, ওয়ার্কশপ এবং প্রশিক্ষণ পরিচালনা এবং বিকল্প এই চিকিৎসা পদ্ধতির প্রয়োগের মাধ্যমে বহু মানুষকে শারীরিক অসুস্থতা থেকে সুস্থতা লাভে সহযোগিতা করেন।
বর্তমানে বাংলাদেশে ন্যাচারোপ্যাথি এবং ইয়োগা থেরাপি নিয়ে কাজ করছেন। ঢাকার বকশী বাজারে অবস্থিত প্রাচীন ইউনানী চিকিৎসা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ‘তিব্বিয়া হাবিবিয়া ইউনানী মেডিক্যাল কলেজ এ্যান্ড হাসপাতাল’ বকশী বাজারে নিয়মিত প্র্যাকটিস করছেন এবং স্বাস্থ্যসেবায় ভূমিকা রেখে চলেছেন।
ভারত, চীন, নেপালসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এই কোর্স চালু আছে। ঐন্দ্রিলার স্বপ্ন বাংলাদেশে ন্যাচারোপ্যাথি এবং ইয়োগা কোর্সের জন্য কলেজ প্রতিষ্ঠা হোক, এই প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করে ছেলেমেয়েরা যেন মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় দক্ষ এবং পেশাদারি ভূমিকা রাখতে পারে।