ভুজুঙ্গাসনের নিয়ম :
- ইয়োগা ম্যাট অথবা পরিষ্কার কোন স্থানে উপুর হয়ে শুয়ে পরুন।
- দু’ পায়ের পাতা এবং পা জোড়া লাগিয়ে রাখুন।
- দুই হাতের পাতা বুকের দুই পাশে রাখুন।
- হাত কনুই শরীরের সাথে লাগিয়ে রাখুন।
- এরপর থুতনি মাটিতে রাখুন।
- এবার লম্বাকরে শ্বাস নিন এবং শ্বাস নিতে নিতে ধীরেধীরে মাথা, সোল্ডার, বুক, কোমর পর্যন্ত তুলুন।
- হাতের কনুই ভাজ থাকবে না।
- সোল্ডার বা বুক সম্পুর্ণ খুলে টান টান রাখুন।
- মাথা যতটা সম্ভব পেছনদিকে নিয়ে যান।
- চোখ খোলা রাখুন।
- এ অবস্থানে এসে নরমাল শ্বাস-প্রশ্বাস চালিয়ে যান। ১০ থেকে ৩০ সেকেন্ড অপেক্ষা করুন।
তবে ভালো হচ্ছে আপনি যতক্ষণ পারবেন ততোক্ষণ এভাবেই থাকুন। এবার আবার লম্বাকরে শ্বাস নিন এবং শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে ধীরে ধীরে মাথা, সোল্ডার, বুক, নামিয়ে আগের অবস্থানে চলে আসুন। ৫-১০ সেকেন্ড মকোর আসনে অর্থাৎ উপুর হয়ে বিশ্রাম করুন ঠিক এভাবেই ৫-৬ রাউন্ড করুন।
উপকারিতাঃ
এই আসনটি নিয়মিত করলে স্পন্ডিলাইটিস, স্লিপ ডিস্ক জাতীয় রোগ হতে পারে না। সহজ ভাষায় কোমরে এবং ঘাড়ে ব্যাথার উপশম হয় ।
যে সকল ছেলে-মেয়ের বয়স অনুযায়ী বুকের গড়ন সরু বা অপরিণত তাদের এ আসনটি করা উচিত। নিয়মিত অভ্যেসে বুক সুগঠিত হয়। বিশেষ করে মেয়েদের শরীর গঠনে বিষয় উপকারী
সব ধরনের স্ত্রীরোগ এবং ছেলে মেয়ে উভয়ের রিপ্রডাক্টিভ সিস্টেমের জন্য মহৌষধ হিসেবে কাজ করে।
তাই প্রতিদিন এ আসনটি চর্চা করা উচিৎ । আসনটিতে ঘাড় গলা মুখ বুক পিঠ কোমর ও মেরুদন্ডের ওপরে চাপ পড়ায় ঐ অঞ্চলের স্নায়ুতন্ত্রী ও পেশী সতেজ ও সক্রিয় থাকে। পিঠের মাংসপেশীকে মজবুত ও বেশি কর্মক্ষম করে।
মেরুদন্ডের হাড় নমনীয় থাকে শরীরের রক্ত চলাচল ত্বরান্বিত হয় এবং তারুণ্য অটুট থাকে ।
টনসিল বা গলার ইনফেকশন থেকে মুক্তির জন্যে এবং যারা ঘন ঘন কাসি ঠাণ্ডায় ভোগেন তাদের জন্যে বিশেষ উপকারী।
এই আসনটি হাই ব্লাড প্রেশারের রোগীদের জন্যে খুবই উপকারী। মানসিক উদ্বেগ ও উত্তেজনার ফলে আমাদের শরীরের রক্তে এড্রিনালিন বেড়ে গিয়ে রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়। এই আসন নিয়মিত চর্চা এড্রিনাল গ্রন্থিকে ত্রুটিমুক্ত ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে রক্তচাপ কমাতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে।
অর্ধ ভুজঙ্গাসনেও পূর্ণ ভুজঙ্গাসনের মতো ফল পাওয়া যায়।
নিয়মিত এ আসন করলে হজমশক্তি বাড়ে। পেটে Gass জনিত সমস্যা দূর হয় যকৃৎ ও প্লীহা সুস্থ থাকে।
সতর্কতাঃ
গর্ভবতী অবস্থায় এই আসন করা যাবে না। মাসিক চলাকালিন সময় না করাই ভালো। হাতের কব্জি, কনুই, সোল্ডারে ইনজুরি থাকলে সাবধানে করতে হবে। এবং অবশ্যই প্রশিক্ষকের পরামর্শ অনুযায়ী করুন।