অতিরিক্ত ওজনের কারণে যে শুধু বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হয় তা নয়, স্বাভাবিক চলাফেরা করাও কষ্টকর হয়ে পড়ে। দীর্ঘমেয়াদি অসুখ যেমন উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস মূলত ওজন নিয়ন্ত্রণ না করার ফলেই হয়ে থাকে।
কার্বোহাইড্রেট বা শর্করাজাতীয় খাবার আমাদের ওজন বৃদ্ধির অন্যতম বড় কারণ। ভাত, রুটি, পাউরুটি, চাল, আলু, পাস্তা, নুডলস, পিত্জা, বার্গার, কোমল পানীয়, এনার্জি ড্রিংকস, মিষ্টি, মিষ্টি বিস্কুট, চকোলেট, কেক, প্যাকেটজাত মিষ্টি কার্বোহাইড্রেটজাতীয় খাবার।
এ ধরনের খাবারগুলো শরীরে অতিরিক্ত পানি ধরে রাখে ফলে শরীর ফুলে যায় এবং ওজন বেড়ে যায়। তবে তার মানে এই নয় যে কার্বোহাইড্রেট খাওয়া ছেড়ে দেবেন। কার্বোহাইড্রেট মানুষের শরীরে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তাই সবার শরীরে এটির প্রয়োজন আছে।
তাই কার্বোহাইড্রেট গ্রহণের পরিমাণ সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ ধীরে ধীরে কমিয়ে আনতে হবে। প্রথমে সপ্তাহ ভেদে পরিকল্পনা করতে হবে।
♦ তিন বেলায় কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কমিয়ে অর্ধেক করতে হবে।
♦ এরপর দ্বিতীয় সপ্তাহে শুধু দুই বেলা কার্বোহাইড্রেট খাবেন।
♦ তৃতীয় সপ্তাহের সকালে শুধু ভাত খাবেন।
♦ একই সঙ্গে সব মিষ্টিজাতীয় খাবার এবং চা বা অন্যান্য খাবারের সঙ্গে চিনি পরিহার করতে হবে।
দুপুরবেলা ভাত বা রুটি খাওয়া বাদ দিতে হবে। ভাতের পরিবর্তে সবজি, সালাদ, মাছ অথবা মাংস বা ডিম পরিমিত পরিমাণে খাবেন। রাতেরবেলা খেতে হবে নানা রকম মৌসুমি ফল, বাদাম অথবা সালাদ। অনেকেই বিকেলে চা খান। চিনি বাদ দিয়ে চা খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
এই খাদ্যাভ্যাস তিন মাস ধরে রাখতে পারলে ওজন ধীরে ধীরে কমতে থাকবে। তবে শরীরের এই খাদ্যাভ্যাস পরবর্তী সময়ে ধরে রাখতে হবে এবং নিয়মিত এই খাদ্যাভ্যাসটি পালন করতে হবে।