রোগকে ছুটিতে রাখার কিছু ভালো শারীরিক অভ্যাস!

কিছু স্বাস্থ্যকর শারীরিক অভ্যাস গড়ে তুলতে – আমরা সবাই একটি সুখী এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে চাই। আমাদের ভাল স্বাস্থ্য একটি সুস্থ শরীর এবং একটি সুস্থ মন দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা হয়।

আর যেহেতু আমাদের মনের অশান্তি বিভিন্ন দুশ্চিন্তার কারণে হয়, তাই আমাদের প্রথমেই দুশ্চিন্তা দূর করতে হবে।

যদি একজন ব্যক্তি অপ্রয়োজনীয় উদ্বেগের একটি মানসিক তালিকা তৈরি করেন, তবে তাদের বেশিরভাগই দূর হয়ে যাবে। এবং সবাই সহজেই এই উদ্বেগ এড়াতে পারেন।

নিম্নলিখিত নির্দেশিকা অনুসরণ কোরতে পারেনঃ 

  • রাতে তাড়াতাড়ি শুতে যান এবং সূর্য ওঠার আগেই উঠুন।
  • সকালে খালি পেটে প্রথমে পানি পান করুন, বিশেষ করে মধু বা লেবুর রস দিয়ে।
  • কম চিনিযুক্ত বা মিষ্টি খাবার খান। উপরন্তু, কোন ওষুধ খাওয়া যাবে না।
  • ঘি তেল কম খান। সম্ভব হলে মাছ, মাংস এবং ডিম খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
  • সঠিক সময়ে সঠিক খাবার গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ। একেবারে প্রয়োজন না হলে খাওয়ার সময় পানি পান করা এড়িয়ে চলাই ভালো।
  • প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা নামাজ আবশ্যক। কেননা নামাজ মনকে চিন্তা ও মানসিক অশান্তি দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • সর্বদা বিশ্বাস বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
  • যেকোনো রোগের চিকিৎসায় প্রাকৃতিক প্রতিকার ব্যবহার করা উচিত।
  • অতিরিক্ত খাওয়া এড়াতে হবে। ক্ষুধার্ত হলেই খাবার খাওয়া উচিত।
  • কয়েকদিন পর পর রোজা রাখলে পাচনতন্ত্রের খুব উপকার হয়।  
  • বিষণ্নতা বা উদ্বেগের মধ্যে অত্যধিক সময় ব্যয় করবেন না।
  • প্রতিদিন কিছু সময়ের জন্য শরীরে সূর্যালোক লাগানোর পাশাপাশি খালি পায়ে হাঁটার অভ্যাস করতে হবে।

উপরোক্ত নির্দেশনাগুলো মেনে চললে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখা এবং রোগমুক্ত জীবনযাপন করা মোটেও অসম্ভব নয়

উপরন্তু, স্বাস্থ্য সংজ্ঞায়িত করার জন্য, দুটি কারণ প্রথমে বিবেচনা করা আবশ্যক। এই দুটি জিনিস হল মন এবং শরীর। তাই সুস্বাস্থ্যের মধ্যে মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা উভয়ই অন্তর্ভুক্ত। এর কারণ হলো, মন যখন কোনো উদ্বেগ, রাগ বা ভয়ে জড়িয়ে পড়ে তখন শরীরে প্রভাব ফেলে। ঘাম হয়, শরীর কাঁপে, রক্তচাপ বেড়ে যায়।

আবার শরীরের কোন অংশে ব্যাথা বা ব্যাথা হলে মন সাময়িকভাবে ব্যাহত হয়। তাই আপনার মনকে সর্বদা সৎ চিন্তায় আবদ্ধ রাখুন। যারা সাধারণত সুস্থ, উদাহরণস্বরূপ, তারা খুব ধৈর্যশীল এবং সাহসী।

পৃথিবীর অধিকাংশ দুঃখ, কষ্ট, সমস্যা, বিষণ্ণতার মোকাবিলা করে শান্তভাবে। মন যা কিছু করতে সক্ষম, ইন্দ্রিয় তাকে তা কোরতে সাহায্য করে।

Leave a Comment