যোগব্যায়ামের একটি বিশেষ ধরনের আসন হল বজ্রাসন!

অন্য যে’কোনো যোগব্যায়াম/ইয়োগা ভরাপেটে করতে বারণ করা হলেও বজ্রাসন এর ক্ষেত্রে সেটা ভিন্ন।

বরং প্রতিবেলায় খাওয়ার পরে অন্তত ৫-১০ মিনিট এই যোগাসনটি করলে খাবার খুব ভালোভাবে হজম হয় এবং আমাদের শরীরের ইমিউনিটি বৃদ্ধি পায়।

বজ্রাসন করার পদ্ধতি:

স্টেপ-বাই-স্টেপ আলোচনা করা হলো

🧿 প্রথমে কোন একটি সমান জায়গায় হাঁটু ভেঙে পেছন দিকে দিয়ে বসুন।

🧿 হাঁটু দু’টো একটির সাথে আরেকটি লেগে থাকবে এবং পায়ের গোড়ালির উপরের দিকে নিতম্ব থাকবে।

🧿 পায়ের পাতা থেকে হাঁটু পর্যন্ত সম্পূর্ণ মাটির সাথে মিশিয়ে রাখতে হবে।

🧿 দু’ হাতের তালু হাঁটুর দিকে ঘুরিয়ে হাঁটুর ওপরে সোজা করে রাখুন।

🧿 পিঠ, বুক, হাত অর্থাৎ পুরো শরীর টানটান রেখে দুই-তিন মিনিট এই অবস্থায় স্থির হয়ে বসে থাকুন।

🧿 শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক ভাবে চালিয়ে যান। এ’ভাবে ৩/৪ বার করুন। প্রতি বারের পর শবাসনে বিশ্রাম নিয়ে নিন।

এ’ আসন করার সময় আপনি চাইলে প্রাণায়াম বা ব্রদিং এক্সারসাইজ অনুশীলন করতে পারেন।

সেক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যে’…

এই ব্যায়াম টি করার সময় খেয়াল করতে হবে যে মেরুদন্ড এবং পুরো শরীর সোজা আছে কিনা।

এবং পায়ের পাতা থেকে হাঁটু পর্যন্ত মাটির সাথে মিশে আছে কিনা।

বজ্রাসনের উপকারিতা:

যোগব্যায়ামের একটি বিশেষ ধরনের আসন হল বজ্রাসন!
যোগব্যায়ামের একটি বিশেষ ধরনের আসন হল বজ্রাসন!

বজ্রাসন যেহেতু ইয়োগা বা যোগ ব্যায়ামেরই একটি বিশেষ ধরন তাই এর নানা উপকারিতা রয়েছে। আমাদের প্রতিদিনকার

জীবনে ব্যায়াম বা মেডিটেশন এর উপকারিতা সম্পর্কে কম বেশি আমরা সবাই জানি। কিন্তু বিশেষ করে এই বজ্রাসনের উপকারিতা অবর্ণনীয়।

১. খাবার হজমের সমস্যা দূর হয় এবং ইমিউনিটি বৃদ্ধি পায়।

২. হাঁটু ও গোড়ালির বাত-ব্যথা নিরাময় হয় এবং পা’এর মাসেল শক্তিশালী হয়।

৩. অনিদ্রা দূর হয়ে সুনিদ্রা হয় ফলে স্ট্রেস কমে।

৪. পায়ের পাতার খিল ধরা বা অসারতা দূর হয় এবং কাপ্ মাসেল উপকৃত হয়।

৫. কোমর ও কাঁধের সন্ধিস্থলের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

৬. পা এবং হাঁটুতে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় ফলে আথ্রাইটিস (Arthritis) হওয়ার সম্ভাবনা অনেকখানি কমে যায়।

৭. শরীরে অক্সিজেনের সরবরাহ মাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং শরীরকে সুস্থ ও সতেজ রাখতে সাহায্য করে।

বজ্রাসন খুবই সহজ একটি যোগব্যায়াম যেটি আমাদের দেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

নিত্যকার ব্যাস্ততার ফাঁকে নিজের সুস্থতার জন্য প্রতিদিন একটু সময় করে যদি ৩-৫ মিনিট ও ব্যয় করেন সহজ এই যোগাসন’টি করা যায় তবে ঔষুধ কিংবা ডাক্তারের সাহায্য ছাড়াই অনেকাংশেই শারীরিক সুস্থতা ঠিক রাখা সম্ভব।

YouTube player

Leave a Comment