এক্সারসাইজ/ব্যায়াম করতে অলসতা বা’ ভালো লাগে না’ প্রতিদিন সকালে সহজ ৫’টি অভ্যাস মেনে চলতে পরলেই কোন রকম পরিশ্রম ছাড়াই ওজন কমবে নির্ভিগ্নে। অনেকের কাছেই ওজন কমানো যুদ্ধের চেয়ে কোনঅংশে কম নয় আর এই ওজন কমানোর প্রক্রিয়ায় অনেকেই ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন।

পুষ্টিবিদদের পরামর্শ মতে প্রতিদিন সকালে কয়েকটি বিশেষ পদ্ধতির মেনে চলার মাঝেই লুকিয়ে আছে ওজন কমানোর মূল মন্ত্র। আমাদের সকলের মনেই একটি সুপ্ত বাসনা যে’ আমরা ওজন কমিয়ে হালকা স্লিম ফিট থাকতে চাই। আর সে জন্য অনেকে আবার পরিশ্রমও কম করেন না। রেগুলার ওয়ার্ক আউট করা, জিমে যাওয়া, মেপে ঝেপে খাওয়া দাওয়া করা, হাঁটা হাঁটি, দৌড়ানো ইত্যাদি নানান রকম এক্টিভিটি করা কিন্তু এতো সব চেষ্টার পরেও অনেক সময় আমাদের ওজন কমতে চায় না। আর দুঃখের বিষয় যে ওজন কমলেও সেটা না’ কমারই মতোন। ওজন কমানোর এই এক্সট্রিম কষ্টকর প্রক্রিয়ায় তখন অনেকেই ধৈর্য এবং আশা হারিয়ে ফেলেন।

পুষ্টিবিদরা বিশেষজ্ঞরা বলেন,

নিয়মতান্ত্রিক ভাবে সকালের কয়েকটি অনুশাসনের মাঝেই লুকিয়ে রয়েছে ওজন কমানোর এবং নিয়ন্ত্রণে রাখার মন্ত্র।

সকাল-সকাল ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস

খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠার উপকারিতা নিয়ে কিছু বলা বাহুল্য মাত্র। এক জন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের জন্য ৮’ঘণ্টা ঘুম যথেষ্ট। এর বেশিক্ষণ ঘুমালে হজমের গন্ডগোল সহ নানান শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। আরলি সকালে ঘুম থেকে উঠার বহুবিধ শারীরিক এবং বৈষয়িক উপকারীতা আছে। সকাল বেলার বাতাস এবং সকলের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও আবহাওয়া শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

মেডিটেশন বা’ ধ্যান

সারা দিনের জন্য নিজেকে এনারজাইস্ট এবং ফুরফুরা রাখতে মেডিটেশন বা ধ্যানের বিকল্প কিছু নেই। সকালে ১৫’ মিনিট ধ্যান করলে মন, মাথা এবং শরীর হালকা শান্ত থাকবে। শরীরের অরগ্যান গুলো ভিতর থেকে শক্তি পাবে। প্রতিদিন সকালে ধ্যান করার অভ্যাসে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

এক গ্লাস হালকা গরম পানি পান

এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ গরম পানি পান করে সকাল শুরু করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। বিশেষ করে ওজন কমাতে এবং নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে গরম পানি বেশ কার্যকর। শরীরের যাবতীয় টক্সিন বের করে দিতে গরম পানি জুড়ি নেই। শরীরের হজম শক্তি উন্নতিতেও দারুণ সাহায্য করে গরম পানি। আরো একটু ভালো উপকার পেতে চাইলে পানির সাথে লেবু এবং মধু ব্যবহার করা যেতে পারে।

সকালের নাস্তায় প্রোটিন

প্রোটিন জাতীয় খাবার সমূহ যেমন মুরগির মাংস, মাছ, গরুর মাংস, মটরশুটি, মসুর, কম ফ্যাটযুক্ত দই, দুধ, বীজ, বাদাম এবং ডিম সহ নানা ধরণের খাবার। ওজন কমানোর সময়ে অনেকেই প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার ঠিক মতো খেতে চান না’ বা’ এভয়েড করেন কিন্তু এটা মোটেই ঠিক নয়। পুষ্টিবিদরা বলে থাকেন যে’ ভরপুর গুড প্রোটিন আছে এমন খাবার আমাদের অনেকক্ষণ পেট ভরে রাখতে সাহায্য করে। ফলে বারে বারে খাবার খাওয়ার প্রবণতা কম থাকে এবং খিদে কম লাগে। পাশাপাশি শরীরচর্চা করার এনার্জি ও’ জোগায় উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গুলো।

শরীরচর্চা

ওজন কমানোর অন্যতম অস্ত্র হচ্ছে শরীরচর্চা। ওজন কমাতে বা নিরোগ থাকতে চাইলে নিয়মিত শরীরচর্চা অবশ্যই করতেই হবে। এর বিকল্প কিছু নেই। জিমে বা বাড়িতে সেটা যেখানেই হোক শারীরিক ক্রিয়াকলাপ বজায় রাখতে হবে। প্রতিদিন সকালে নিয়মিত শরীর চর্চার অভ্যাসে ওজন নিয়ন্ত্রণ তো’ থাকবেই পাশাপাশি নানাবিধ রোগ থেকে নিজেকে দূরে রাখা সম্ভব। আমাদের সকলের জীবনের মূল লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য প্রশান্তি লাভ করা আর প্রশান্তি তখনই সম্ভব যখন আমরা শারীরিক সুস্থতার মধ্যে থাকতে পারি। শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকার মূল মন্ত্র হচ্ছে নিয়মতান্ত্রিক ভাবে প্রতিদিন নিজের সুস্বাস্থ্যের জন্য নিজের মনোবলকে শক্ত করে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং জীবন যাপন পদ্ধতি অনুশীলন করা এবং মেনে চলা।

ধন্যবাদ আপনার সকলের জীবন সুস্থ সুন্দর এবং আনন্দময় প্রশান্তিতে ভরে উঠুক এই প্রত্যাশা রইলো।

Leave a Comment