অনেকেই রমজানে কী খাবেন আর কী খাবেন না তা নিয়ে অনেক দিধাদন্দে পরে যান। খুব কম খাবার যেমন ক্ষুধার কারণ হতে পারে, তেমনি অত্যধিক খাবারও ওজন বাড়াতে পারে। তাই আপনাদের সুবিধার্থে এখানে রমজানের কিছু পুষ্টিকর খাবারের তালিকা দেওয়া হল।
সেহেরি
রমজানে দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার হলো সেহরি। সারাদিনের ক্ষুধা ও কাঙ্খিত পুষ্টি নিয়ন্ত্রণের জন্যই সেহেরি। ফলে সেহরির জন্য খাবার বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
সেহরিতে বিভিন্ন ধরনের খাবার আপনাকে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি পেতে সাহায্য করবে। তাই ১ থেকে ১.৫ কাপ লাল চাল, ১ কাপ মিক্সড সবজি, ১ টুকরো মাছ বা মুরগি, ১ কাপ ডাল দই বা ১ কাপ দুধ খাওয়া যেতে পারে।
যারা ভাতের পরিবর্তে রুটি খেতে পছন্দ করেন তারা লাল আটার রুটি খেতে পারেন। সেহেরি শেষে একটি খেজুর খান। খেজুর সারাদিন আপনার শরীরকে ভিজা রাখবে।
ইফতার
রোজা রাখলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমে যায়। তাই সহজপাচ্য মিষ্টি খাবার দিয়ে ইফতার শুরু করা উচিত। পাচনতন্ত্রকে তার কার্যকলাপের জন্য প্রস্তুত করতে উষ্ণ তরল খাবারও খাওয়া উচিত।
ইফতারকে দুই ভাগে ভাগ করতে হবে। প্রথম অর্ধেক মাগরিবের নামাযের আগে, আর দ্বিতীয় অংশ নামাযের পরে। ১ এর সাথে, অতিরিক্ত খাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। ইফতারে কি খাবেন-
খেজুর (৩-৪ ঘন্টা), সবজি বা মুরগির স্যুপ (১ বাটি), সেদ্ধ ছোলা (১/২ বাটি), ফলের রস (১ গ্লাস)। নামাজের পর, পায়েস/দই পটকা (১ বাটি), কলা বা আপেল (১)।
রাতের খাবার
রমজানের চা হালকা হতে হবে। তাই ১ কাপ ভাত/ পাতলা ২ টি রুটি, ১ টুকরো মাছ বা মুরগি, ১ কাপ সবজি, এবং ১ বাটি সালাদ।
আপনি যদি প্রতিদিন এই নীতিগুলি অনুসরণ করেন তবে আপনি অস্বস্তি বা দুর্বল বোধ করবেন না।