রোজায় কীভাবে আপনার ডায়েট মেনে চলবেন  

আপনারা যারা ওজন নিয়ে বছরজুড়ে চিন্তিত থাকেন, তারা রমজান মাস এলে নানা সমস্যার সমশম্মুখিন হতে হয়, কারান ডায়েট করবেন কিভাবে। এ সময়টাতে খাবারের তালিকা থেকে শুরু করে খাবার গ্রহণের সময় আপনের জীবন এর তুমুল পরিবর্তন ছলে আসে সবকিছু বদলে যায়।  জেনে নেওয়া যাক স্বাস্থ্য সচেতনরা রোজায় কীভাবে তাদের ডায়েট মেনে চলেন।  

ধর্মীয় নিয়মে প্রায় ১৫ ঘণ্টা রোজা রাখার পর খেজুর খেয়েই ইফতার শুরু কোরতে হয়। আপনার  ইফতারে লিস্টে ফলের জুস এবং শরবত রাখুন। ইসবগুল ও তোকমার শরবত বেলের শরবত, লেবুর শরবত, মৌসুমী ফলের জুস আপনি রাখতে পারেন । শরবতে বা জুসে চিনি না দেয়া ঠিক হবে। মনে রাখবেন ডায়েটের সবচেয়ে বড় শত্রু হচ্ছে চিনি। অনেকেই ভাবেন, চিনি না খেয়ে গুড় খেলে উপকার হবে, এটা মোটেও ঠিক নয়।   

ওজন কমাতে চাইলে ইফতারে অতিরিক্ত তেল ও মসলাযুক্ত খাবার খওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। বেশি সালাদ দিয়ে অল্প তেলে ভাজা আধা কাপ ছোলা আপনি খেতে পারেন। আর ভরাপেটে ভরপুর খাবার না খেয়ে বরং পানি, জুস ও ফল তরল জাতিয় খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। সেহেরির আগে অন্য কিছু না খেয়ে রাত ১০টার দিকে যেকোনো মৌসুমি ফল বা এক গ্লাস লো ফ্যাটযুক্ত দুধ খেতে পারেন। রাতে হালকা করে ব্যায়াম করে নিতে পারেন। শরীরের উপর জোর দিয়ে কোন ব্যায়াম ঙ্করা যাবে না। এতে রোজায় অসুস্থ হয়ে জাবার প্রবল সম্ভাবনা থাকে। যারা সেহেরিতে ভাত খেতে চান তাদের উচিত দেড় কাপের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখাসালাদ সঙ্গে রাখুন । দুটি লাল আটার রুটি বা ওটসের রুটি সঙ্গে সবজি আর খুব অল্প তেলে গ্রিল করা মুরগীর মাংস বা মাছ খেতে পারেন। রাতে দুধ না পান করলেও সেহেরির সময় এক গ্লাস দুধ বা টক দই খেতে পারেনএবং, সেহেরি শেষে ঘুমিয়ে পড়ার পরিবর্তে, পনের মিনিটের হাঁটাহাঁটি করুন। ঘুমাতে যাওয়ার আগে প্রার্থনা করুন। আপনি প্রশান্তির অনুভূতি অনুভব করবেন।

Leave a Comment