ক্ষীণ দৃষ্টি ও চোখে সমস্যা
দেশে বিরক্তিকর হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে চোখের ক্ষীণ দৃষ্টি সমস্যা। এক দশক আগেও ৮ হতে ১০ বছরের শিশুদের এমন সিচুয়েশন নোটিশ না গেলেও সম্প্রতি স্মার্টফোন, ট্যাব, ল্যাপটপ ও মুঠো ফোন ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে বড়দের সঙ্গে শিশুরও এ প্রবলেমে ভুগছেন অনেক বেশি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুদের চোখে অতিরিক্ত স্ক্রিন এক্টিভিটি বড়দের চোখের চেয়ে অনেক বেশি লস করে। তারা বলেন, বিশ্ব শরীর সংস্থ্যার তথ্যমতে, আধুনিক জগতে প্রায় ৩১ কোটি ৪০ লাখ চোখের রোগে ভুগছেন। যাদের ভিতরে ৪ কোটি ৫০ লাখ দৃষ্টিহীন। অবশিষ্ট ২৬ কোটি ৯০ লাখ মানুষ স্বল্প দৃষ্টি পক্ষান্তরে চোখের অন্য কোনো রোগে ভুগছেন। এদের আবার দুই-তৃতীয়াংশই নারী। তবে এই ঝামেলার ৮০ শতাংশই নিরাময়যোগ্য।
ছানি পড়া, চোখে দেখতে সমস্যা
বয়স বাড়লেই শুধুমাত্র নয়, যে কোনো বয়সে আমাদের চোখে ছানি পড়তে পারে। এর বিভিন্ন রিজন রয়েছে।
ছানি হচ্ছে চোখের এক ধরনের রোগ। এ রোগ নোটিশ দিলে প্রাথমিকভাবে চোখের লেন্স অস্বচ্ছ বা ঘোলা হতে শুরু করে, ফলে দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হতে থাকে।
বার্ধক্যজনিত কারণে, শরীরের অন্য অসুখের কারণে, চোখের কোনো অসুখের জটিলতার ফলে ও আঘাতজনিত কারণে আমদের নয়নে যে কোনো বয়সে ছানি পড়তে পারে।
চিকিৎসাবিজ্ঞান থেকে জানা যায় ছানির প্রবলেম প্রধারনত ৪০ বর্ষের পর নোটিশ গেলেও আসলে এই রোগ হওয়ার কোনো বয়স নেই। পর্যাপ্ত ক্ষেত্রে লক্ষ্য যায় সদ্যজাত শিশুরও এই প্রবলেম রয়েছে। অপারেশনের সাহায্যে এই বিপদের সমাধান করা হয়ে থাকে। এ ছারাও ছানি পড়া, চোখে দেখতে সমস্যা, উন্নত দৃষ্টি শক্তি ঘরোয়া সমাধান রয়েছে।
উন্নত দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে ঘরোয়া সমাধান
১) ভিটামিন যুক্ত খাবার
ভিটামিন এ, সি এবং ই এ খনিজ দত্ত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ম্যাকুলার অবক্ষয় রোধে সহায়তা করতে পারে। এটা এইরকম ১টি সিচুয়েশন যেখানে ম্যাকুলা- চোখের অংশ যা কেন্দ্রীয় দৃষ্টি নিয়ন্ত্রণ করে।
এই তাৎপর্যপূর্ণ পুষ্টির জন্য অন্ন উত্সগুলিতে বিভিন্ন প্রকারের রঙিন শাকসবজি তার সাথে ফলমূল অধিভুক্ত রয়েছে, যেই খাবারগুলো বেশি পরিমানে খাওয়া উচিত তা হচ্ছে গাজর, লাল মরিচ, ব্রোকলি, পালং শাক, স্ট্রবেরি, মিষ্টি আলু, সাইট্রাস, ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার যেমন সালমন এবং ফ্ল্যাকসিড প্রভৃতি আহার সংখ্যা বাড়াতে পারেন। আরো চমৎকার যদি সূর্যমুখী বীজ ও চিয়া বীজ খেতে পারেন।
২) ড্রাই fruits
আলমন্ড, কিসমিস তার সাথে ডুমুর চোখের জন্য ভালো।। ছয় হতে দশটি বাদাম, কিশমিশ এবং দুইটি আঞ্জার কতিপয় জলে রাত্রে ভিজিয়ে রাখুন। এগুলো সকালে খালি পেটে খান। এই ফলের ভিতরে পর্যাপ্ত হিসাবে ফাইবার তার সাথে ভিটামিন হজম প্রক্রিয়াগুলিকে গতিতে সহায়তা করে তার সাথে স্বাস্থ্যকে বিষক্রিয়া থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করে, যার ফলে আঁখি সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রবলেম সমাধানে সহায়তা করে।
৩) তামা ব্যবহার
মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট পরিমাণে তামার উপকারিতা অগণিত, কিন্তু এর সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ সুবিধা হ’ল এটি অতিমাত্রা শক্তিশালী অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট। আয়ুর্বেদিক অনুশীলনকারীরা ডেইলি এক লিটার পানি পান করার উপদেশ দেন তামার পাত্রে, একটি তামার পাত্রে সারারাত জল সকালে রাখুন, আঁখি এবং শরীরের আদার্স জরুরি অঙ্গগুলির জন্য অসংখ্য নিরাময়ের বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান তামা তে।
৪) ধূমপান ছাড়ুন
ধূমপান তার সাথে চোখের বিভিন্ন রোগের ভিতরে একটি যোগসূত্র রয়েছে। ধূমপান বয়সের সাথে সম্পর্কিত ম্যাকুলার অবক্ষয়, ছানি এবং ইউভাইটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। এটা ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির ঝুঁকিও বাড়িয়ে তুলতে পারে। তামাকের ধোঁয়াও নয়নে দাহ করে, যা শুকনো চোখকে এইরকম ভালো না করার জন্য পারে।
৫) জলের ছিটে দিন বার বার
আমরা সবাই আমাদের ল্যাপটপ, আইপ্যাড বা সেল ফোনে আবদ্ধ। এই ডিভাইসগুলি থেকে বিকিরণ অতিশয় ক্ষতিকারক তার সাথে আমরা চশমা তে যতগুলি স্তর প্রতিরক্ষামূলক কোর্ট যুক্ত করি না কেন, আঁখি সর্বদা আক্রান্ত হয়। প্রতি এক বা দুই ঘন্টা পর পর আপনি চোখের ওপর জল এর ছিটে দিয়ে আপনার চোখকে শীত করুন।