সাম্প্রতিক কালে পালিত হলো বিশ্ব শ্রবণ দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য সবার জন্য কর্ণ ও শোনার যত্ন। কান আমাদের ইম্পোর্টেন্ট ১টি অঙ্গ। শোনা এবং ভারসাম্য রক্ষা ছাড়াও সৌন্দর্যবর্ধনে কানের ভূমিকা রয়েছে অনেক। পৃথিবীতে তৈরি করে ৪৭ কোটি মানুষ কানে কম শোনা সমস্যায় ভোগেন। বিশ্ব দেহ সংস্থার মতে, ২০৫০ বছরের ভিতরে বিশ্বজুড়ে ৯০ মিলিয়নের বেশি ব্যক্তি শোনার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলবেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগ শিশু। বাংলাদেশেও এর পরিমান মোটেও কম নয়, প্রায় এক তৃতীয়াংশ লোক কানে কম শোনার সমস্যায় ভোগেন। আমাদের যুবসমাজ ইয়ারফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহারের ফলে কানে শোনার প্রবলেমে অনেক অধিক ভুগছেন। এমনকি কানে শোঁ শোঁ আওয়াজ প্রবলেম নিয়েও অনেকেই আসেন। কানে না শোনার অক্ষমতা এক বা উভয় কানে থেকে পারে। সময়মতো যোগ্য চিকিৎসা গ্রহণ করলে কম শোনার প্রবলেম বেশিরভাগই প্রতিরোধ করা যায়।
কানের ঝামেলার চিকিৎসা জন্য আকুপ্রেশার কীভাবে প্রয়োগ করবেন।
কান আমাদের পাঁচটি ইন্দ্রিয়ের একটি তার সাথে আমাদের শ্রবণ যন্ত্র। এই কান দিয়ে বাহ্যিক কিওয়ার্ড অভ্যন্তরীণ কানে প্রবেশ করে। মেসেজ বা ইশারা সংগ্রহ করা হয়, কানে নিয়ে যাওয়া হয় এবং শব্দের উচ্চতা বাড়াতে কম্পন সৃষ্টি করা হয়। স্নায়বিক চাপ এর কার্যকারিতা বাড়াতে বা বাধা দিতে পারে।
কানে কম শোনা, দূরের শব্দ না শোনা, কাছের শব্দ পর্যাপ্তভাবে না শোনা, সারাক্ষণ কানে কিওয়ার্ড না হওয়া, কানে অস্বস্তি হওয়া তার সাথে কানে পুঁজ হওয়া সবই পরিচিত সমস্যা, যেমন কানে একটি শব্দও না শোনা, এবং শ্রবণ শক্তি নেই।
আকুপ্রেসার: স্নায়ুর কারণে শ্রবণশক্তি হ্রাস বা কানের প্রবলেম থাকলে, কার্যকর ফলাফল অর্জনের জন্য কানের ঠান্ডা বিন্দুর চিকিত্সার জন্য আকুপ্রেসারের সঙ্গে একত্রে উভয় হাতের ২০০ পয়েন্ট প্রতিদিন গভীর তীব্র চাপতে হবে। প্রচুর দৃঢ় কানের ব্যাধি কয়েক মাসের মধ্যে নিত্য আকুপ্রেসার দিয়ে সমাধান করা যেতে পারে।
সতর্কতা: কানে অস্বস্তি হলে শুরুতে ব্যথা উপশম করতে হবে।
রোগের উপর ভিত্তি করে খাবার: শীতল কানের বিপদের অন্যতম কারণ, এইজন্য সর্দি হওয়া এড়িয়ে চলুন তার সাথে যদি আপনি করেন তবে কানের প্রবলেম নিরাময়ের জন্য তুলসি, আদা এবং বসকের রস পান করুন। কাঁচা পেঁয়াজ এবং রসুনও কানের জন্য সহায়ক।