পবনমুক্তাসন – ঘরে বসে নিজেই শিখুন ইয়োগা

এই আসনে পেটের বায়ু দূর হয়, পেটে বায়ু জমতে পারে না। এই আসনে হজমশক্তি বৃদ্ধি  পায়। অজীর্ণ, অম্বল, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রভৃতি পেটের অসুখে এই আসন খুবই উপকারী ভাবে কাজ করে থাকে। হাঁপানি রোগে এই আসন অত্যন্ত ফলদায়ক হতে পারে।  

পবনমুক্তাসন করার নিয়ম:

চিৎ হয়ে শুয়ে পা দুটো লম্বা করে সামনের দিকে ছড়িয়ে দিন। পায়ের আঙ্গুলগুলো বাইরের দিকে ফেরানো থাকবে। হাত দুটো গায়ের সঙ্গে লেগে থাকবে । এবার আস্তে আস্তে ডান পা হাঁটু থেকে ভাজ করে হাঁটুটা বুকের উপর তোলার চেষ্টা করুন। হাঁটুর দু’ ইঞ্চি নিচে হাত দুটো এমনভাবে রাখুন যেন ডান হাতের হাতের কনুইয়ের উপর আর বাম হাতের  কঁনুইয়ের উপর থাকে। যদি অসুবিধা হয় তাহলে এক হাতের আঙ্গুল আর এক হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে গলিয়ে দিয়ে হাঁটুর দু’ইঞ্চি নিচে রাখতে চেষ্টা করুন। এভাবে আস্তে আস্তে বুকের উপর চাপ প্রয়োগ করুন। এভাবে ৩০ সেকেন্ড অবস্থান করার পর একইভাবে বিপরীত পায়েও করতে হবে। 

দু’পা করা শেষে আপনার একসেট হবে। এভাবে আপনাকে ৫-৮ সেট করতে হবে বা তার থেকেও আরও বেশি করতে পারেন তাতে আপনার ভালোই হবে। হাঁটু যখন বুকে টেনে ধরবেন তখন মাথা সোজা রেখে চিবুক নামিয়ে বুকের কাছে আনবেন। বাঁ পায়ের গোড়ালি মাটিতে লেগে থাকবে, কিন্তু পা শক্ত হবে না একেবারে। গোটা মেরুদন্ড মাটি ছুঁয়ে থাকবে।এবার দু’পা একসঙ্গে হাঁটু থেকে ভেঙ্গে আসনটা করুন। ঐ ৩০ সেকেন্ড। শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে। তারপর পা দুটো নামিয়ে একেবারে সোজা করে দিন, হাত দুটোও সোজা করে দুপাশে গায়ে ঠেকিয়ে রাখুন। তার মানে, একেবারে প্রথম যেমন ছিলেন সেই অবস্থায় ফিরে আসতে চেষ্টা করুন। তারপর শবাসনে ৩০ সেকেন্ড বিশ্রাম নিন। এরকম তিনবার করুন।   

পবনমুক্তাসন করার কিছু সতর্কতাঃ

এ আসনটি করার সময় অবশ্যই প্রথমে ডান পা দিয়ে শুরু করবেন। কারণ, যদি প্রথমে বাম পা তুলে করেন তাহলে পেটের মধ্যে কোলনে যে বায়ু জমে আছে তা বের না হয়ে অবরোহী কোলন থেকে আরোহী কোলনে প্রবেশ করবে। ফলে বায়ুর বহির্গমন হবে না। তাই প্রথমেই ডান পা তুলে করতে হবে। যাঁদের বয়স পঞ্চাশের উপর তাঁরা জোড়া পায়ে এই আসন করবেন না। যাঁরা গ্যাস্ট্রিক আলসার, হাই ব্লাড প্রেশার বা হার্টের কোনো অসুখে ভুগছেন তাঁরা কেবল ডান পায়ে এই আসন করবেন আর যাঁরা ডিউওডিন্যাল আলসারের রোগী তাঁরা করবেন কেবল বাম পায়ে।

YouTube player

Leave a Comment