মাসিক বা পিরিয়ডে যা জানা অবশ্যই জরুরি

পিরিয়ড, একজন মহিলার শরীরের অত্যাবশ্যকীয় প্রক্রিয়াগুলির মধ্যে একটি। পিরিয়ডের (Periods) সময়ে সঠিক পরিচ্ছন্নতা মেনে চলা এবং সঠিক খাবার খাওয়া খুবই জরুর 

মাসিক বা পিরিয়ড সম্পর্কিত জরুরি তথ্য এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য নিয়ে কিছু প্রধান তথ্য নিম্নে দেওয়া হল

পিরিয়ড কি: মাসিক বা পিরিয়ড হল মহিলাদের স্ত্রীধর্মের নিয়মিত ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যগত অবস্থা যাতে মাসিক বা রক্তপাত এক মাসে একবার ঘটে। এটি মহিলাদের গর্ভনিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে এবং গর্ভধারণের সম্ভাবনা প্রতিবন্ধক করতে পারে।

পিরিয়ডের দিনের সংখ্যা: প্রতিমাসে মাসিকের দিনের সংখ্যা আমলের ভিত্তিতে পরিবর্তিত হতে পারে, কিন্তু মাঝেমধ্যে সাধারণভাবে ২৮ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে হয়।

মাসিকের প্রবলতা এবং দুর্বলতা: মাসিকের প্রবলতা এবং দুর্বলতা মহিলার মস্তিষ্কের পরিবর্তন, হরমোনের স্তর, দ্রব্য কর্ম এবং শারীরিক অবস্থার কারণে পরিবর্তিত হতে পারে। এটি স্বাভাবিক এবং মাসিকের সাধারণ অংশ হতে পারে।

ছত্রাক সংক্রমণ: স্যানিটারি ন্যাপকিন পরিবর্তন করার আগে ও পরে, হাত ধোয়া গুরুত্বপূর্ণ। যারা তা করেন না তাদের ছত্রাক সংক্রমণ,  এমনকী হেপাটাইটিস বি-তে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকতে পারে। এছাড়া অপরিষ্কার স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করলেও বেশ কিছু স্বাস্থ্যের ঝুঁকি হতে পারে। 

প্রস্তুতি বা কৌশলের গুরুত্ব: মাসিকের দিনে প্রস্তুতি বা কৌশল ব্যবহার করা উচিত, সেটা পেরিয়ডের শারিরিক অস্থিরতা কমাতে অনেকটা সাহায্য করতে পারে। 

প্রজনন ক্ষমতা: পিরিয়ড বয়সের সঙ্গে সঙ্গে হওয়া স্বাভাবিক, তবে কিছু সময় মহিলাদের পিরিয়ডে  ইরেগুল্যারিটি দেখা যায়, যা প্রজনন ক্ষমতা কে প্রভাবিত করতে পারে।  

স্বাস্থ্যের কারণে গুরুত্বপূর্ণ: মাসিক বা পিরিয়ডের স্বাস্থ্য দেখতে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল গর্ভনিরোধ, মহিলার গর্ভধারণের সম্ভাবনা, ভ্যাজিনাল স্বাস্থ্য, হরমোনাল স্তর, সাধারণ স্বাস্থ্য এবং উপকারী প্রকৃতির পরিবর্তন। 

এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে মহিলা তার মাসিক প্রস্তুতি নিয়ে স্বাস্থ্যগত অবস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য বিশেষভাবে জানে। যদি কোনও সমস্যা বা চিন্তা থাকে, তবে একজন চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।   

Leave a Comment