মৌসুমি সংক্রমণ সেরে উঠেও ক্লান্তি যাচ্ছে না?

বর্ষা মানেই রোগের বৃদ্ধি। কারও জ্বর, কারও সর্দি-কাশি, কারও আবার পেট খারাপ। বর্ষাকালে ঠান্ডা-গরম আবহাওয়া এবং স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে ব্যাকটেরিয়া সহজেই বৃদ্ধি পেতে পারে। আর্দ্র পরিবেশ, তাপমাত্রার ওঠানামা—সবই ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাকের বৃদ্ধির জন্য আদর্শ। সিজনাল ইনফেকশনে আক্রান্ত হওয়ার পর শরীর খুবই দুর্বল হয়ে পড়ে। অনেকেই ক্লান্তি, শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যায় ভুগছেন। সম্পূর্ণ সুস্থ থাকার জন্য ব্যায়াম করা প্রয়োজন। যেহেতু অবিলম্বে কোনও কঠোর ব্যায়াম করা সম্ভব নয়, তাই আপনি সংক্রমণ থেকে পুনরুদ্ধার করার পরে যোগব্যায়ামের উপর নির্ভর করতে পারেন। জেনে নিন এই সময়ে কোন যোগাসন শরীরকে সবল রাখবে।

মার্জারী আসন
সব চারে বসুন। হাত কাঁধের ঠিক নীচে এবং হাঁটু পিঠ বরাবর হওয়া উচিত। শ্বাস নিন এবং কাঁধ চওড়া এবং মাথা নিচু করে প্রথমে মেরুদণ্ডটি রোল করুন। এরপর শ্বাস ছাড়ার সময় মাথা উপরের দিকে ঘুরিয়ে মেরুদণ্ডকে উল্টো দিকে মোচড় দিন। এটি মেরুদণ্ডের জন্য একটি দুর্দান্ত ব্যায়াম। এই আসনটি ৫ থেকে ২০ বার করুন।

হলসন
বজ্রাসনে বসুন বা এর উপর হাঁটু গেড়ে বসুন এবং উভয় হাত উপরে তুলুন। মাথা নিচু করে শুয়ে পড়ুন এবং যতটা সম্ভব শক্ত করে সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ুন। শরীর ও মন দুটোই শান্ত থাকবে। শরীরের শক্তি বৃদ্ধি পাবে।

ভদ্রাসন

মাটিতে হাঁটু মুড়ে বসুন। তার পর দুই পায়ের পাতা সামনের দিকে জুড়ে দিন। দুই হাত দিয়ে দু’ পায়ের পাতা চেপে ধরে হাঁটু টান টান করে পা স্ট্রেচ করুন। পশ্চাৎ, হাঁটু এবং পায়ের হাড়ের জন্য এই আসন খুব উপকারী। গায়ে হাত পায়ে ব্যথা হলে এই আসন করলে উপকার পাওয়া যায়।

ভুজঙ্গাসন

উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। আপনার দু’টি পায়ের পাতা এবং কপাল যেন মাটিতে স্পর্শ করানো থাকে। পা দু’টি পাশাপাশি রাখুন যাতে গোড়ালি দুটি পরস্পরের স্পর্শে থাকে। এ বার হাতের পাতা দুটিকে উল্টো করে কাঁধের কাছে রাখুন। খেয়াল রাখবেন কনুই দুটি যেন সমান্তরাল থাকে। হাতের পাতার উপর ভর করে আপনার দেহের উপরের অংশটি সামনের দিকে তুলুন। কোমর তুলবেন না। দশ অবধি গুনে আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুন। তিন বার পর পর আসনটি করুন।

ধনুরাসন

পেট উপুড় করে শুয়ে পড়ুন। তার পর হাঁটু ভাঁজ করে পায়ের পাতা যতখানি সম্ভব পিঠের উপর নিয়ে আসুন। এ বার হাত দুটো পিছনে নিয়ে গিয়ে গোড়ালির উপর শক্ত করে চেপে ধরুন। চেষ্টা করুন পা দুটো মাথার কাছাকাছি নিয়ে আসতে। এই ভঙ্গিতে মেঝে থেকে বুক হাঁটু ও ঊরু উঠে আসবে। তলপেট ও পেট মেঝেতে রেখে উপরের দিকে তাকান। এই ভঙ্গিতে স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড থাকুন। তার পর পূর্বের ভঙ্গিতে ফিরে যান। এই আসন বার তিনেক করতে পারেন।

Leave a Comment