বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, কোমর ব্যথা একটি দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা হিসাবে দেখা দেয়। অনেকেই পিঠের ব্যথায় ভোগেন। এই ধরনের সমস্যা বিভিন্ন কারণে ঘটতে পারে। বিশেষ করে জীবন অলসভাবে অতিবাহিত হলে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্ত চলাচল ঠিকমতো না হলে যেমন কোমর ব্যথা হতে পারে, তেমনি খুব দ্রুত নড়াচড়ার সময় পেশিতে টান পড়লেও পিঠে ব্যথার সমস্যা (ব্যাক পেইন প্রবলেম) হতে পারে। আজকাল, কোমর এবং কোমর ব্যথা বাড়ি থেকে কাজ করার সংস্কৃতির কারণে খুব পরিচিত সমস্যা হয়ে উঠেছে। আমাদের কাজের পদ্ধতির পরিবর্তনের কারণে, বিশেষ করে করোনা মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে, অনেক লোককে দিনের বেশিরভাগ সময় ল্যাপটপের সামনে বসে কাটাতে হয়।
সমস্যা হল আমরা সাধারণত সোফা বা চেয়ারে বসে কাজ করি। এই অভ্যাস শরীরের নড়াচড়াকে আরও সীমিত করে। ফিটনেস রুটিন বা সাধারণ ব্যায়ামের মতো কাজ করার সময়ও অলসতা দেখা দেয়। দিনে আট থেকে নয় ঘণ্টা চেয়ারে বসে কাজ করলে পিঠ ও কোমর ব্যথা অনিবার্য। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সহজ ও স্বল্পমেয়াদী ব্যায়াম পিঠের ব্যথা দূর করতে পারে। নীচের পিঠের ব্যথা কমাতে বা পরিত্রাণ পেতে এখানে চারটি সহজ যোগাসন রয়েছে-
ভুজঙ্গাসন: আপনার পিঠে শুয়ে পড়ুন। কনুই বাঁকা করে উভয় হাত বুকের দুই পাশে রাখুন। হাত ব্যবহার করে কোমর থেকে বুক উঠানোর চেষ্টা করুন। মাথাটা একটু উপরে তুলুন। ধীরে ধীরে শ্বাস নিন।
শালবাসন: এই ব্যায়ামটি শুয়েও করা উচিত। থুতু মাটি স্পর্শ করবে। শরীরের দুই পাশে হাত রাখুন। হাতের তালু মাটি স্পর্শ করবে। হাতের তালুতে চেপে দুই পা কোমর থেকে একযোগে মাটি থেকে তুলে নিন।
উত্থিতপদাসন: চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ুন। শরীরের দু’পাশে হাত রাখুন। তালু থাকবে মাটি স্পর্শ করে। এবার একসঙ্গে দুই পা একযোগে কোমর থেকে উপর পানে তুলে দিন। পা মোটামুটি মাটি থেকে ১ হাত উপরে উঠলেই চলবে। দু’টি পা একসঙ্গে তুলতে না পারলে একবার ডান পা আর একবার বাম পা তুলেও আসনটি করা যায়।
পবনমুক্তাসন: খাড়া অবস্থায় শুয়ে পড়ুন। এবার ডান পা ভাঁজ করে পেটের সাথে পায়ের থাই অংশ যোগ করুন। দুই হাত দিয়ে আলিঙ্গনের মতো আপনার হাঁটু একসাথে ধরে রাখুন। এই অবস্থায় ১০-১৫ বার শ্বাস নিন এবং শ্বাস ছাড়ুন। তারপর ডান পা সোজা করে বাম পা ভাঁজ করে পেটের সাথে মিলিত করুন। আগের মতো ভাঁজ করা পা দুই হাতে ধরে শ্বাস-প্রশ্বাস করুন। অভ্যস্ত হয়ে গেলে উভয় হাঁটু একসাথে ভাঁজ করে পেটে চেপে শ্বাস নিন। প্রতিটি আসনের শেষে, শবাসনে ৩০ সেকেন্ডের জন্য বিশ্রাম নিন।
আপনি যে আসনটি অনুশীলন করুন না কেন, প্রতিটি আসন থেকে ১০ থেকে ১৫ দীর্ঘ শ্বাস এবং শ্বাস ছাড়া চালিয়ে যান। আর হ্যাঁ, খালি পেটে যোগব্যায়াম করুন।
অস্বীকৃতি: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোন ওষুধ বা চিকিৎসা নয়। বিস্তারিত জানার জন্য আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।