স্বাস্থ্যকর ত্বক বজায় রাখার অর্থ কেবল এটির যত্ন নেওয়া নয়, এর সাথে দৈনন্দিন জীবনের কিছু অভ্যাসও জড়িত। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’ জানিয়েছে, এমন কিছু অভ্যাস রয়েছে যা আপনার ত্বককে সুস্থ রাখে। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতাও বাড়ায়।

সুষম খাদ্য: সুস্থ ত্বকের জন্য সুষম খাদ্য অপরিহার্য। আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার যেমন ফল, সবজি, গোটা শস্য, প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি অন্তর্ভুক্ত করুন। এসব খাবারে রয়েছে প্রয়োজনীয় ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের কোষের পুষ্টি বাড়ায়। ফলে ত্বকের তারুণ্য বজায় থাকে।

আর্দ্রতা: ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখা সুস্থ ত্বকের অন্যতম শর্ত। পর্যাপ্ত পানি পান করলে শরীর থেকে টক্সিন বের হয়ে যায়। ত্বক হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত। প্রতিদিন অন্তত আট গ্লাস পানি এবং আপনার খাদ্যতালিকায় শসা, তরমুজ এবং সেলারির মতো বেশ কিছু পানিযুক্ত ফল আপনার ত্বককে আর্দ্র রাখবে।

নিয়মিত ব্যায়াম: নিয়মিত ব্যায়াম শরীরে রক্ত সরবরাহ ঠিক রাখে। ফলে শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ হয় এবং ত্বকের পুষ্টি বজায় থাকে। নিয়মিত ব্যায়াম মানসিক চাপও কমায়। এটি ত্বকেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম আপনার ত্বককে রাখে তরুণ

সূর্যের রশ্মি থেকে সুরক্ষা: সূর্যের অতিরিক্ত এক্সপোজার ত্বকের ক্ষতি করে এবং ত্বকের বার্ধক্য সৃষ্টি করে। এটি করার জন্য, আপনি যখন বাইরে যান তখন আপনার ত্বকের সুরক্ষার জন্য সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। এছাড়াও সূর্য-প্রতিরক্ষামূলক পোশাক পরুন। এছাড়াও, সূর্যের অতিরিক্ত এক্সপোজার এড়িয়ে চলুন।

পর্যাপ্ত ঘুম: আপনি প্রতি রাতে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুম পান তা নিশ্চিত করুন। পর্যাপ্ত ঘুম ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখে।

স্ট্রেস কন্ট্রোল: অতিরিক্ত স্ট্রেস শরীরে কর্টিসল হরমোন নিঃসরণ করে। এর ফলে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা যেমন ব্রণ, একজিমা এবং অকাল বার্ধক্য দেখা দেয়। মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে ধ্যান, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম, যোগব্যায়াম করুন। প্রকৃতিতে সময় কাটান। এই ক্রিয়াকলাপগুলি ত্বকে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

ত্বকের যত্নের রুটিন: আপনার ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য প্রতিদিন ত্বকের যত্নের রুটিন করা উচিত। পর্যায়ক্রমে আপনার ত্বক পরিষ্কার করা, এক্সফোলিয়েট করা, টোন করা এবং ময়শ্চারাইজ করা অপরিহার্য।

Leave a Comment