আমাদের দৈনন্দিন ব্যস্ত জীবনে একটি সুস্থ মন এবং শরীর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যকর খাবার এবং ব্যায়াম ছাড়াও এর জন্য কিছু অভ্যাস অনুসরণ করা প্রয়োজন। অভ্যাস যা আমাদের লক্ষ্যের কাছাকাছি যেতে সাহায্য করে। এছাড়া স্বাস্থ্যকর জীবনধারা অনুসরণ করলে অনেক শারীরিক সমস্যা প্রতিরোধ করা যায় এবং মানসিকভাবে সুস্থ রাখা যায়।

খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠা
সকালে ঘুম থেকে ওঠার অনেক উপকারিতা রয়েছে। সকালে ঘুম থেকে উঠে ধ্যান বা ব্যায়ামের জন্য যথেষ্ট সময় দেয়। যা যে কাউকে সারাদিন সুন্দর ও নির্বিঘ্নে কাটাতে সাহায্য করবে।

ব্যায়াম
প্রতিদিন ব্যায়াম করা আপনাকে ফিট এবং সুস্থ রাখতে পারে। ব্যায়াম ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে অনেক ক্ষতিকারক পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। ব্যায়ামের সবচেয়ে বড় উপকারিতা হল এটি শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। ব্যায়াম ত্বক ও চুলের জন্যও দারুণ।

প্রাতঃরাশ
ওজন কমাতে অনেকেই সকালের নাস্তা বাদ দেন। কিন্তু, সকালের নাস্তা এড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয়। কারণ সকালের নাস্তা এড়িয়ে গেলে যে কেউ ক্ষুধার্ত বোধ করতে পারে। ফলে তারা প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খায়। ফল হল উল্টো।

জলয়োজিত থাকার
শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে পর্যাপ্ত পানি পান করুন। কারণ হাইড্রেশন শরীরের কোষের সঠিক কার্যকারিতা, শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, টক্সিন ফ্লাশ এবং সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

কাজের তালিকা
একটি দৈনিক করণীয় তালিকা আছে. এটি লক্ষ্য নির্ধারণ বা পুরো দিনের পরিকল্পনা করতে সহায়তা করে। তাই একটি তালিকা তৈরি করুন এবং এটি অনুসরণ করুন। তাহলে সময়মতো কাজ শেষ করা সম্ভব হবে। আর সময়ও নষ্ট হবে না। বাড়তি চাপ তৈরি হবে না।

স্বাস্থ্যকর পানীয়
সুস্থ থাকতে সবুজ চায়ের মতো স্বাস্থ্যকর পানীয় বেছে নিতে পারেন। গ্রিন টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। মানসিক চাপ দূর করতে এটি খুবই উপকারী।

সক্রিয় থাকুন
নিজেকে সক্রিয় রাখতে লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি দিয়ে ওঠার চেষ্টা করুন। এটি শরীরকে ফিট ও সক্রিয় রাখে। অথবা সপ্তাহের শেষে বন্ধুদের সাথে ট্রেকিং করতে যেতে পারেন।

বাড়িতে রান্না করুন, বাড়িতে খান
বাড়িতে রান্না করা স্বাস্থ্যকর খাবারের তুলনা নেই। বাড়িতে রান্না ও খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। তাহলে প্রয়োজন অনুযায়ী ক্যালরি বা প্রোটিনের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

Leave a Comment